মোঃ হেলাল পালোয়ান কমলনগর (লক্ষীপুর)প্রতিনিধি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে লক্ষীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় এ বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাত থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস দেখা যায়,তবে সময়ের সাথে সাথে বাতাস ও বৃষ্টির পরিমান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা নিয়ে কিছুটা আতংক বিরাজ করছে উপকূলীয় বাসীর মধ্যে। আবহাওয়া অফিসের মতে আজ মধ্যরাত নাগাদ যে কোন সময়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে রিমাল নামক ঘূর্ণিঝড়টি।
উত্তাল মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকা নিরাপদে থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং সিপিপির পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন (৬) নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে এতে লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে দূর্যোগ প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রচারনা জোরদার করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা সহ সবদিক থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্ট্রোল রুম সহ মোট ১০ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন ধরনের জরুরী সেবা প্রদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।