কয়রা প্রতিনিধি: খুলনা থেকে রাতে ঢাকায় উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা পরিবহন গাড়ী গুলোর সাথে ঢাকাস্থ সি এন জি ড্রাইভারদের একটা ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে ঢাকায় পৌঁছানোর পরে পরিবহন সুপার ভাইজার যাত্রীদের ভালো সেবা দেয়ার মানসিকতায় সিএনজি ড্রাইভার দের ষ্টেশনে থাকার জন্য ফোন দিয়ে ডেকে নেয়। গত পরশু দিবাগত রাতে দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম এর খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চিফ গাজী আব্দুল আলীম রাত ৮:১৫ মিনিটে পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা ষ্টার ডিলাক্স গাড়ি নম্বর ৮০৮,সিটি নম্বর A,4 এসে রাত ৩;২৫ মিনিটে মালিবাগে নামায় সময় সুপার ভাই জারের সহায়তায় একটি সি এন জি তে চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাজী আব্দুল আলীম ড্রাইভার কাছে জানতে চাইলেন পথে ঘাটে রাতে যেতে কোন সমস্যা আছে কিনা? উত্তরে ড্রাইভার জানালো ষ্টেশনে নাই তবে সামনে আছে কিনা বলতে পারবোনা। এ কথা শুনে সাংবাদিক কিছু টা ভয় পেয়ে তার কাঁধে রক্ষিত হ্যান্ড ব্যাগ টি নামিয়ে নিরাপত্তা জনিত কারণে ছিটের পিছনে রক্ষিত ব্যাগ,ল্যাগেজ যেখানে থাকে সেখানে হ্যান্ড ব্যাগটি রেখে দেয়। সিএনজি বাসার গেটে এসে থামাতে ব্যস্ততার সাথে ভাড়া মিটিয়ে ড্রাইভার নেমে যেতে বলেন। সাংবাদিক তার সাথে রক্ষিত কাপড়ের ব্যাগ,কেওড়া বোঝাই দুটো ব্যাগ, মাছের একটা বালতি সহ দ্রুত নামেন এবং ড্রাইভার কে দ্রুত ভাড়া মিটিয়ে দিলে সিএনজি ড্রাইভার চলে যায়। দারোয়ান গেট খুলে দিলে লিফট নষ্ট থাকার কারণে ৬ষ্ট তলায় উঠার কিছু ক্ষণ পরে হ্যান্ড ব্যাগ টির কথা মনে পড়ে যায়। ততক্ষনে প্রায় ত্রিশ মিনিট চলে গেছে।নিচে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আর ড্রাইভার কে খুঁজে পাওয়া যায় নি। হ্যান্ড ব্যাগ টির ভিতরে অনেক টাকা পয়সা, ব্যাংকের চেক বই সংবাদ পত্রের প্রেসকার্ড ৪টি,ডায়েরি,কলম, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। মেয়ের ০৭/৯/২৪ তারিখে জন্মদিন পালন করার উদ্দেশ্যে বেড়াতে আসা সাংবাদিক হঠাৎ করে এ সকল টাকা পয়সা জিনিস পত্র হারিয়ে মারাত্মক ভাবে দিশেহারা। সিএনজি ড্রাইভারের প্যানিক দেওয়া কথা শুনে অতি নিরাপত্তা জনিত কারণে হ্যান্ড ব্যাগ টি ঘাড় থেকে নামিয়ে সিটের পিছনে না রাখতো তাহলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটতো না। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকেরা বলেন প্রায়শই ড্রাইভার রা যাত্রী দের মনে এমন কিছু কথা বলেন যে কারণে বেশী সচেতন হতে সিটের পিছনে দামি জিনিস পত্র লুকাতে গিয়ে নামার সময় ড্রাইভার দের ব্যস্ততার কারণে তড়িঘড়ি করে ভূল করে সিটের পিছনে রক্ষিত ব্যাগ গুলো নিতে ভূলে যান। এ চক্রের অভিনব কৌশল ও প্রতারণার ফাঁদে অনেক যাত্রী রা তাদের স্বরবশ্ব খুইয়েছেন। দিনের পর দিন এ চক্রের রহস্য মূলক কথাবার্তা যাত্রীদের সামনে উপস্থাপন করে তাদের মনে প্যানিক তৈরীর করে এবং অবচেতন মনে তাদের কাছে রক্ষিত দামি জিনিস পত্র গুলো সাবধানতার সাথে পিছনের সিটে লুকিয়ে রাখে এবং গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর পরে ড্রাইভার দের ব্যস্ততার কারণে সে ব্যাগগুলো আর নামানোর সময় পাওয়ার আগেই ভাড়ার টাকা নিয়ে ড্রাইভার রা দ্রুত কেটে পড়ে। এ ভাবেই ড্রাইভার রা তাদের প্রতারণা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । এ গুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।