ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ-
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ও শালিসকারীদের উপরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার আজিম নগর ইউনিয়নের আজিম নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন, তাঁর আপন ভাই-ভাতিজাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দেন লাভলু মাতুব্বর নামের এক ব্যাক্তি। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার কারনে- বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভাই ও ভাতিজারা। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন মামলার বাদি সহ স্থানীয়রা। তবে, এসআই আলমগীর হোসেনের ভাষ্য- তাঁর পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধটি প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মামলা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- তাকে হেয় করার জন্য গ্রাম্য প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, এসআই আলমগীর, তাঁর আপন ভাই মজিবর মাতুব্বর ও তাদের প্রতিপক্ষ লাভলু মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে তাদের। গত ২৬ এপ্রিল সকালে জমি নিয়ে বিরোধটি সমাধানের জন্য গ্রাম্যশালিস ডাকা হয়। সেখানে উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত হন। এসময় জমি মাপঝোপ শুরু হলে সেই মাপঝোপ অমান্য করেন এসআই আলমগীরের নির্দেশে তাঁর ভাই মজিবর মাতুব্বর, ভাতিজা হাবি মাতুব্বর। এই নিয়ে ঝগড়াঝাটি শুরু হলে মজিবর মাতুব্বরসহ তার সহযোগি আরও ১৫-২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের রক্ষায় স্থানীয় শালিসকারীরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করেন হামলাকারীরা। এতে নারী-পুরুষসহ ১০-১২ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গ্রাম্য মাতুব্বর মিজানুর রহমান, ছামাদ খালাশী জানায়, তাদের গ্রামের বাসিন্দা এসআই আলমগীর। কিন্তু তাঁর প্রভাব খাটিয়ে চলেন তাঁর আপন ভাই-ভাতিজারা। তাদের দাপটে অতিষ্ট গ্রামের সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় একটি ন্যায় বিচার দাবিতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
প্রতিপক্ষের মজিবর মাতুব্বরের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। তাঁর ছেলে হাবি মাতুব্বর জানায়, হামলা-মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না তাঁর চাচা এসআই আলমগীর। প্রতিপক্ষের লোকজনসহ গ্রাম্য মাতুব্বরা একত্রে তাদের উপরে অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, দুই পক্ষের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথকভাবে দুইটি মামলা রুজু হয়। লাভলু মাতুব্বরের অভিযোগে পুলিশের এসআই আলমগীরের নাম আছে কি না তিনি শুনেন নি। উভয়ের মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।