1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শুক্রবার| দুপুর ২:৩৭|
সংবাদ শিরোনামঃ
তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিনের নিজ এলাকায় আগমন ঘিরে নীলফামারী জেলা বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি  যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সিলেট আগমন সোমবার জামায়াতের শোকরানা মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু আহত ১ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করণে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা ও পথসভা অনলাইন জুয়ায় সর্বস্ব হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল মন চায় ভাঙ্গায় বাড়ি থেকে গভীরাতে এক যুবকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পলাতক সহ পৃথক মামলার ৫ আসামী গ্রেফতার কৃষি উন্নয়ন ও তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে নীলফামারী জেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম ফল

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪,
  • 190 জন দেখেছেন

 

সোহেল রানা পাইকগাছা প্রতিনিধি।

রাস্তার পাশে বাহারি রং ছড়াচ্ছে আমঝুম ফল।গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে আমঝুম ফল। দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের। আধাপাকা হলে গোলাপি-লাল এবং পরিপূর্ণ পাকলে লালচে কালো রঙ ধারণ করে। আধা পাকা এ ফল খেতে কষযুক্ত। আমঝুম ফল পাকলে কষভাব অনেকটা কমে যায়। স্বাদে কষ হওয়ায় এ ফলটিকে কষটি ফলও বলা হয়।

কাচা, হলুদ,কমলা ও কালো রংয়ের বাহারি আমঝুম থোকায় থোকায় ঝুলছে। পাইকগাছার মেইন সড়কের গদাইপুর ও নতুন বাজারের পাশের গাছে শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম। এটি অপ্রচলিত একটি গাছ ও ফল। নানা নামে প্রচলিত। এলাকা ভিত্তিক নাম ভিন্ন ভিন্ন। খুলনা অঞ্চলে আমঝুম,নিনজিল ও কাউয়াঠুটি নামে পরিচিত। অঞ্চলভেদে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমঝুম ফল, ছাগলবড়ই, ছেরাবেরা, ছাগলনেদি, টাটই, কাউয়াঠুটি, খেজুরজাম, ভূতিজাম ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ভারতের পূর্ব-মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়ার গ্ৰামাঞ্চলে এটিকে রাখালফলও বলা হয়। এ ফলটি জিভ ও মুখের ঘা এবং রক্তহীণতা দূর করে। প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতাও বাড়ায় বলে জানা গেছে।

 

খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝোপঝাড়, বসতবাড়ি, বাগান এবং রাস্তার ধারে প্রায়ই দেখা যেত। তবে কালের বিবর্তনে বর্তমানে এটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছের আকার মধ্যাকৃতির, পাতার গড়ন আম পাতার মতো। তবে পাতা অনেক নরম। এর বৈজ্ঞানিক নাম  লেপিস্যান্থেস রুবিগিনোসা শেপিনডেসি।

বুনো গাছ বলে পরিচিত। রাস্তার ধারে, ঝোপঝাড়,বনেবাদাড়ে জন্মায় এই গাছ। অবহেলা অনাদরে বড় হয়। গাছ চির সবুজ।পাতা বড় এবং মসৃণ ও খসখসে।গাছ প্রায় ত্রিশ ফুট পর্যন্ত বড় হয়।ছোট গাছেও ফল ধরে। গাছে মার্চে মাসে ফুল ধরে এবং মে মাসে ফল পাকা শুরু হয়।পল্লবের ডোগা থেকে ঝুরি নামে এবং থোবায় থোকায় ফল ধরে।ফল কাচা অবস্থায় সবুজ,আধা পাকা অবস্থায় হলুদ বা কমলা রঙের আর পাকলে কালো রং হয়।স্বাদে কিছুটা বুনো গন্ধযুক্ত মিষ্ট,তবে মুখরোচক।ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে খুব প্রিয় ফল।এইগুলো পাখিদের প্রিয় ফল,পাকা ফল পেলে গাছ সাবাড় করে দেয় পাখি।

 

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ রকম ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে প্রায় ৭০টি ফল অপ্রচলিত বা স্বল্প পরিচিত।এর মধ্যে রয়েছে কাউফল, নোয়াল, উড়িআম, লুকলুকি, বৈচি ইত্যাদি। দেশি প্রজাতির অনেক গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে সংরক্ষের অভাবে।

 

পাইকগাছা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ বলেন, দিন দিন বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আর কমে যাচ্ছে পাখির সংখ্যা।প্রাকৃতিকভাবে এ গাছ জন্মাতে পাখি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ফলের ঔষধিগুণও রয়েছে। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নাম না জানা নানা গাছ। এসব গাছ সংরক্ষন করা প্রয়োজন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!