ঈশ্বরদী,পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে সলিমপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) আওতায় একটি নতুন রাস্তা নির্মানকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় উপজেলা প্রকৌশলীর ভুমিকা নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। জানা গেছে, গত মাসে ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি সরদার পাড়া থেকে সিলিমপুর বাজার পর্যন্ত ৬৭০ মিটার রাস্তাটির পাকাকরণ নির্মাণ কাজ পাই পাবনা সাঁথিয়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা কনস্ট্রাকশন। সরকারি প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি ঈশ্বরদী উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে এই নির্মাণকাজ। সরজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির নির্মান কাজে শ্রমিকরা রাস্তার সিলিং করতে ইটের খোয়া ফেলছেন। রাস্তাটির প্রথম অংশে ব্যবহৃত ইট ও খোয়ার মান ভালো থাকলেও কিছুদুর পর থেকে খুবই নিম্নমানের খোয়া দিয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের খোয়ার উপর পানি ছিটিয়ে রুলিং করা হচ্ছে। তবে কাজ পরিদর্শনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাউকে দেখা যায়নি। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে বললেও তারা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা নির্মান কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হেড মিস্ত্রী রফিক হোসেনকে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেন। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবনা। এ বিষয়ে মেসার্স ফাতেমা কন্সট্রাকশনের ঠিকাদার সৈকত হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) এনামুল কবির জানান, রাস্তাটির কাজ যাচাই বাছাইয়ের জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী পাবনায় পাঠানো হয়েছে। টেস্টের ফলাফল আসলে যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আবার সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন করা হবে। এদিকে নাম প্রকাশ না করে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পরিচয়ে কাজ পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা এক ব্যাক্তি বলেন, অল্প টাকা বাজেটের রাস্তায় ভালো খোয়া দেওয়া সম্ভব না। তবে উপজেলার প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, কাজে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। যে ব্যক্তিই এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকুক তিনি আমাদের অফিসের কেউ না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক হতে পারে।