নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে এক লন্ডন প্রবাসীর মালিকানাধীন দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ঘরের মালিক হাজী ছালাহ উদ্দিন লন্ডন থাকাবস্থায় স্টাম্পের মাধ্যমে একটি ভাড়ানামা সম্পাদন করেছেন। যেখানে ওই লন্ডন প্রবাসী মালিকের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। উক্ত ভাড়া নামার সাথে ১ম ভাড়ানামার কোন মিল নেই। এ ঘটনায় লন্ডন প্রবাসী হাজী ছালাহ উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা এলাকার আব্দুস ছুবানের ছেলে লন্ডন প্রবাসী হাজী ছালাহ উদ্দিনের মালিকাধীন ছুবান মঞ্জিল এর দোকানঘর শোয়েব ইলেক্ট্রনিক নামে ব্যবসা করার জন্য একই এলাকার সৈয়দ ফিরুজ মিয়ার ছেলে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ভাড়া নিতে চাইলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় ৫ বছরের মেয়াদে ১০০/৫০ টাকার স্টাম্পে বিগত ০১-০১-২০১৯ইং সালে ভাড়ানামা চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে মেয়াদ শেষ হয়। জামানতের টাকা প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে কর্তন হয়ে ৫ বছরে জামানতের টাকাও শেষ হয়। এদিকে মালিক পক্ষ ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামকে মেয়াদ শেষে ঘর ছাড়ার তাগিদ দিলে সুচতুর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বিগত ০১-০১-২০২১ইং তারিখে একটি ভাড়ানামা চুক্তি ১০০ টাকা মুল্যের ৩টি স্টাম্পে লিখে ঘরের মালিক হাজী ছালাহ উদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করে সম্পাদন করেন। উক্ত চুক্তিনামায় ৫ লাখ টাকা জামানত দেখানো হয়। ২০১৯ সালের চুক্তিনামা থাকা সত্বেও লন্ডন প্রবাসী হাজী ছালাহ উদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত চুক্তিনামা মালিকপক্ষ’কে দেখান। এটা দেখে লন্ডন প্রবাসী ছালাহ উদ্দিন হতভম্ব হয়ে পড়েন। উক্ত ঘটনাটি শহরে জানাজানি হলে আলোচনার ঝড় উঠে। শহরের একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী হয়ে শোয়েব ইলেক্ট্রিকের মালিক সিরাজুল ইসলাম কেন এই জালিয়াতির আশ্রয় নিলেন। যেখানে ১ম চুক্তিনামায় উল্লেখ্য রয়েছে ০১-০১-২০১৯ হতে ৩০-১২-২০২৪ইং পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদে ঘরটি ভাড়া। উক্ত ভাড়ার বিপরীতে ১০-১০-২০১৮ইং তারিখে ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে সিসিএ-২৫৬৪৬৯৯ চেক নম্বারের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জামানত দেন। ওই চুক্তিনামা সম্পাদন করে মালিক হাজী ছালাহ উদ্দিন অদ্যাবধি পর্যন্ত লন্ডন অবস্থান করছেন। তাহলে ০১-০১-২০২১ইং সালের চুক্তিনামায় কিভাবে স্বাক্ষর করলেন তা নিয়েই আলোচনার ঝড় উঠে। এ ব্যাপারে লন্ডন প্রবাসী ছালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রবাসীরা স্বদেশে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছি। প্রতারকচক্রের কাছে এক রকম জিম্মি হয়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর ২০১৮ইং সালে জামানত হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আমার একাউন্টে প্রদান করেন ভাড়াটিয়া। তারপর ২০১৯ইং সালে দেশে আসার পর ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামের সাথে আমার চুক্তিনামা ডিড হয়। কিছুদিন পরই আবার লন্ডন চলে আসি, যা অদ্যাবধি পর্যন্ত দেশে যাইনি। আমার ঘরের ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে ঘর ছাড়ার তাগিদ দিলে উক্ত সিরাজুল ইসলাম নানা টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বর্তমানে পরিচালক তাহার ছোট বোনের জামাইকে কে তিনি জাল ভাড়ানামার চুক্তিনামা দেন। এটা দেখার পর তিনি হতবাক হন। তিনি এই জালিয়াত চক্রের হাত থেকে প্রবাসীদের রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি জোরদাবী জানান। এ ব্যাপারে ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে সুইচ অফ পাওয়া যায়।