নিজস্ব প্রতিবেদক >> প্রবাসী অধ্যুাসিত আধ্যাতিক রাজধানী সিলেটের সেটেলমেন্ট অফিস যেন দূণীতির আখড়া। রাজনীতির মারপ্যাচে চলছে দূর্ণীতির মহোৎসব, যেন খাই খাই অবস্থা কর্তৃপক্ষ নীরব, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে, কর্মকর্তারা ব্যস্ত নিজেদের আখেরগোচাতে।
ভূমি অফিসের দূর্ণীতি কারো অজানা নয়, তবে এসবেরও একটা নিমিট থাকা দরকার। কিন্তু সিলেট সেটেলমেন্ট অফিসের দূর্ণীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তারা সেই নিমিটের তোয়াক্কা না করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে দেদারছে সরকারী খাস ও ডিসির খতিয়ানের জমি বিভিন্ন জনকে দিয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাইনা দরিদ্র নিরীহ মানুষের জমিও টাকার বিনিময়ে হাতবদল করে দিচ্ছেন। ফলে একদিকে সমাজে বাড়ছে ঝগড়া-মারামারি বিশৃংখলা, হিংসা এমনকি খুন খারাবির মতো ঘটনা,অন্যদিকে দূণীতিবাজরা হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত কয়েকদিন আগে দূর্ণীতির একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয় । রেকর্ডের শোনা যায় ভূমিকর্মকর্তা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ক্যাশিয়ারের সাথে একটি জমি নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার সাধন বাবু কে দিয়ে ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি কাজ করিয়েছেন। পেশকার সাধন বাবু সাড়ে চার বছরে কতজনের কাছ থেকে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা আল্লাহই ভালো জানেন। ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় সাহেব পনের লক্ষ, পেশকার ১০ লক্ষ এবং বড় সাহেবের ডাইভারকে দুই লক্ষ দেওয়া লাগবে। এ কর্মকর্তা গত সাড়ে তিন বছরে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে অনেক জনের কাছ থেকে এরকম টাকা নিয়ে অবৈধভাবে সরকারী খাস, ডিসির খতিয়ান ও নিরীহ মানুষের জমিজমা প্রভাবশালীদের দিয়েছেন। তাদের অতি লোভের কারনে কতো নিরীহ মানুষ পথে বসেছে তা বুঝা কঠিন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন এর ক্যাশিয়ার ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কি কাজ করিয়েছেন তা বের করতে দূর্ণীতি দমন কমিশনকে খোঁজে বের করতে হবে। এব্যপারে নজর রাখতে সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের আহবান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং ভূক্তভোগীরা। সাধন বাবু পেশকার হওয়ার পর দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকার মালিক হয়েছেন তা খুঁজে বের করা দরকার।
দূর্ণীতির বিষয়ে জানতে বার বার সাধন বাবুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সরাসরি আলমপুর জোনাল অফিসে গিয়ে সাধন বাবুর সাথে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ফোনালাপের বিষয়টি শুনে আমি আমার অফিসের কলিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তাহার পরিবারের কথা চিন্তা করে মামলা করিনি। বিষয়টি সত্য কিনা জানতে চাইলে বলেন সব মিথ্যা আমি তাকে চিনিনা, আপনি তাকে না চিনলে কেন সে আপনার নাম বলে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বড় সাহেব কে জানতে চাইলে তিনি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের যুগ্ন সচীব বর্তমানে (বদলী) ইমরান হোসেন এর নাম বলেন। চালকের কথা জানতে চাইলে বলেন বড় সাহেবেরর গাড়ীতো একেকজন একেকবার চালায় কারকথা বলবো।