মোঃ আবু তালেব হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ বন অধিদপ্তরের অভিযানে মাধবপুরে ১২টি বন্যপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপাখি উদ্ধারের এ অভিযান চালিয়েছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। উদ্ধারকৃত পাখিগুলো শনিবার বিকালে ৪ টায় গতকাল চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) নীলিমা রায়হান এর সামনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ১২টি বন্যপাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল, তেলমাছড়া বিট কার্যালয়, সাতছড়ির রেঞ্জ কার্যালয়, মনতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অংশগ্রহণে বন্যপাখি উদ্ধারের এ অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে পাখি প্রেমিক সোসাইটি। জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার পৌর এলাকা, আদাঐর ইউপির মিরাশানি ও সোনাই ইটভাটা এলাকায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন প্রকার পাখি, শিকারের ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়। এ সময় ২টি তিলা ঘুঘু, ৪টি শালিক, ৩টি দেশি টিয়া, ১টি চন্দনা টিয়া, ১টি ডাহুক, ১টি দেশি ময়না পাখি উদ্ধারসহ পাখি শিকারের অসংখ্য ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়। অভিযানের পর স্থানীয় মনতলা বাজারের বন্যপ্রাণী বন্যপাখি ব্যবসায়ী মালু (৫০) মিয়ার বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলা দায়ের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানা যায়। এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান, সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, তেলমাছড়ার বিট কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, ই-প্রেস নিউজের নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ লস্কর, পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহবায়ক মুজাহিদ মসি, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো.শাহিন উদ্দিন,সাতছড়ির বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ,জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তাজুল ইসলাম ও বন বিভাগের সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মোমেন মিয়া প্রমুখ। এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, আমরা মাধবপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন পাখি শিকারির সন্ধান পেয়েছি যারা পাখি শিকার ও বন্যপাখির অবৈধ বাণিজ্য করছে। ডিএফও মহোদয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত অভিযানের দোষীদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।