জহুরুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে এক পাষণ্ড স্বামী যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে মার ডাং করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে নীলফামারী আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ডোমার থানায় ন্যায় বিচারের জন্য মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নং নারী শিশু পিটিশন ১৫৯/২০২৩ সদর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদরের খলিশাপচা এলাকার খায়রুল আনামের মেয়ে মোছা. আনহা আক্তার (২২) ও ডোমার উপজেলার সোনারায় চাকদা পাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে মশিউর রহমান আনাচ (৩০) এর সাথে পারিবারিক ভাবে গত ০৬/০২/২০২২ ইং তারিখে মুসলিম ন শরিয়ত মোতাবেক ৩ লাখ ৫ হাজার ১ শত ১ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে ও রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিননামা মূলে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। এসময় উপঢৌকন হিসেবে একটি সুজকি ১১০ সিসি মোটরসাইকেল ও নগদ ২ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার এবং ঘরের আসবাবপত্র দেয়। কিছু দিন সংসার করার পর ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নিজ স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলে তিনি বাদী হয়ে এসময় যৌতুক নিরোধ আইনের ০৩ ধারায় একটি মামলা করেন। যার মামলা নং সি. আর ১৮২/২২। কিন্তু আসামী পাষণ্ড স্বামী আপোষ মিমাংসা করে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘর সংসার করে ফুসলিয়ে মামলাটি তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে আবারও যৌতুকের জন্য পূর্বের ন্যায় অত্যাচার করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাষণ্ড স্বামী যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে মার ডাং করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্ত্রীকে।
এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফিরোজ চৌধুরী বলেন, সমাজে এটা নেক্কার জনক এটা আসলে আমাদের কার কাম্য না কারণ সংসার একটা পবিত্র জিনিস। এটা যেন ভেঙ্গে না যায় আমরা সেটা চেষ্টা করব।
থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতির বিষয়টি জানতে চাইলে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ-উন-নবী বলেন, এ ঘটনাটি যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে না জেনে বলা যাবে না। কোর্টের বেশি ভাগ মামলা গুলোতে এরকম কথা বতর্মানে কমন কথা বলে যান তিনি।