আল আমিন কাজী, বরিশাল : বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসন থেকে দ্বাদশ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন এ, কে ফাইয়াজুল হক রাজু। ইতোমধ্যে রাজুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আ. লীগ জোটের ও ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী রাশেদ খান মেননের লালিত-পালিত কিছু সন্ত্রাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজুর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও হুমকি অব্যাহত রেখেছে। ফলে ৭ জানুয়ারির অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সংঘটনের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে এবং নিরীহ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে সংখ্যালগু এলাকায় গিয়ে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের অনুসারীরা হামলা-হুমকি সৃষ্টি করে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল পরিবেশকে বিনষ্ট করার মহাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। এরই ফলশ্রুতিতে গত ৩১-১২-২৩ তারিখে ২ নং হারতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নাথারকান্দিতে আমার ঈগল মার্কার অফিস ভাঙচুর করছে এবং ২-৩ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তারা এখন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল বিশ্বাস, সাতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস সরদার এবং সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল বাসার লিটন তাদের ২৫-৩০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে এবং তাদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে অফিস ভাঙচুর ও হামলা চালায়। ফলে হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের দীপঙ্কর পাড় ও উত্তম বিশ্বাস গুরুতর আহত হন।
এর আগে বানারীপাড়ার বাইশারীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজুর রিয়াজের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ আসনের বিভিন্ন একালায় নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে হুমকি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ব্যানার ও পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে যা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে এ, কে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন সহিংস পথ বেছে নিয়েছেন। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির করতে এমন পথ বেছে নিয়েছেন। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।