1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি ডিপজলের - Bikal barta
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শুক্রবার| সকাল ৯:৩১|
সংবাদ শিরোনামঃ
স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর উদ্যোগে সুত্রাপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় চলতি মৌসুমে আলু বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা    সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত সুনামগঞ্জের দোয়ারায় বাবার কবরে ওরসের নামে অশ্লীলতা বন্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ  ৫ বছরের প্রেম, পর অবশেষে বিয়ে করলেন নজরুল ইসলাম ও সাদিয়া সুলতানা তানিয়া। শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের জাতীয় শিক্ষাক্রমের ৯ হাজার পাঠ্যবই জব্দ আটক ১ রামপালে পুষ্টি সচেতনতা ও শিখন কার্যক্রম বিষয়ক মেলা। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালকের ইন্তেকাল,পরিবারে শোকের ছায়া  অচল মানুষ 

দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি ডিপজলের

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩,
  • 61 জন দেখেছেন

রিয়েল তন্ময়:

দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বরাবরই দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হিন্দি সিনেমা আমাদের দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে কোনোভাবেই যায় না। হিন্দি সিনেমাতে নায়ক-নায়িকাদের যে ধরনের পোশাক ও যে ধরনের গানের দৃশ্য ব্যবহার করা হয়, তা অশালীন এবং কোনোভাবেই আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে যায় না। এটা বিজাতীয় সংস্কৃতি। ডিপজল বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, হিন্দি সিনেমা আমদানি আমাদের সিনেমাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। হিন্দি সিনেমা মুক্তির কারণে আমরা আমাদের সিনেমা মুক্তি দিতে পারছি না। অনেক নির্মাতা মুক্তির তারিখ ঠিক করেও হিন্দি সিনেমার কারণে মুক্তি পিছিয়ে দিচ্ছে। আমার তিনটি সিনেমা রেডি হয়ে আছে। বারবার মুক্তির তারিখ ঠিক করেও হিন্দি সিনেমার কারণে মুক্তি দিতে পারছি না। এর ফলে আমরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমি মনে করি, হিন্দি সিনেমা আমদানি করে আমাদের সিনেমাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদি হিন্দি সিনেমাই চালাতে হয়, তাহলে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দিলেই হয়! আমাদের দেশে কোনো সিনেমা নির্মিত হবে না, এ ঘোষণা দিলেই পারে! দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানি করে পরিকল্পিতভাবে আমাদের সিনেমাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য একটি মহল দীর্ঘদিন ধরেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ ষড়যন্ত্র এখন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। একের পর এক হিন্দি সিনেমা এনে ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দেয়ার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোও নীরব রয়েছে। তারা কেন ও কি কারণে চুপ মেরে রয়েছে, কি সুবিধা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে এ চুপ থাকা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দেয়াকে সমর্থন করছে। তা নাহলে, তারা হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তির প্রতিবাদ করত, আমাদের সিনেমার পক্ষে কথা বলত। এখন তো আমাদের অনেক ভাল ভাল সিনেমা হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করছে। এসব সিনেমা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ও সমাজের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। সমাজ ও পরিবারের ভাল-মন্দ দিক তুলে ধরা হচ্ছে এবং ভাল দিয়ে মন্দের মোকাবেলা দেখিয়ে দর্শকদের সচেতন করা হচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরা হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে একের পর এক হিন্দি সিনেমা আমদানি তথা বিজাতীয় সংস্কৃতি আমদানি করে আমাদের সংস্কৃতিকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। হিন্দি সিনেমায় যে ধরনের পারিবারিক দৃশ্য ও পোশাক দেখানো হয়, তা কোনোভাবেই আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের সাথে যায় না। আমি মনে করি, যে সময়ে আমাদের সিনেমা একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সে সময়ে হিন্দি সিনেমা আমদানি করে তার পথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ডিপজল বলেন, হিন্দি সিনেমা আমদানির পর সেন্সরবোর্ড তাতে কোনো ধরনের কাটছাঁট না করেই সেন্সর দিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, আমাদের সিনেমা নিয়ে নানা ধরনের কাটাকাটি করে। বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। শুধু সেন্সরবোর্ডই নয়, এফডিসিও আমাদের সিনেমার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি দৃশ্যের জন্য এফডিসির রাস্তা ব্যবহার করলে এর সাথে অনেকগুলো খরচ যুক্ত করে দেয়া হয়। অথচ আমি শুধু রাস্তাটিই ব্যবহার করছি, এর সাথে অন্য খরচ যুক্ত হবে কেন? ডাবিং থেকে শুর করে অন্য স্পট ব্যবহার করলেও এর সাথে অন্যান্য খরচ যুক্ত করে দেয়া হয়। আর এখন তো এফডিসির প্রায় সবগুলো ফ্লোর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলকে ভাড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের শুটিংয়ের জন্য কোনো ফ্লোর নেই। অথচ টিভি চ্যানলগুলোও ঠিক মতো এফডিসিকে ভাড়া দিতে পারছে না। বাকি রেখেছে। এফডিসি নাকি বেতন দিতে পারছে না। কেবল আমাদের সিনেমার ক্ষেত্রেই এফডিসি এক খরচের সাথে আরও অনেক খরচ জুড়ে দেয়। আমি মনে করি, সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে এফডিসির এই আচরণও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিপজল বলেন, সরকারের উচিৎ আমাদের সিনেমার দিকে আরও বেশি দৃষ্টি দেয়া। সরকার অনুদানের পরিমান বাড়িয়েছে ঠিকই, তবে এ সময়ে একটি ভাল সিনেমা বানানোর জন্য যথেষ্ট নয়। দেখা যায়, অনেকে অনুদানের যে অর্থ পায়, তার সাথে আরও অর্থ ইনভেস্ট করে সিনেমা বানায়। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের অনুদানের টাকা যথেষ্ট নয়। আমি মনে করি, সরকারের উচিৎ আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া। ডিপজল বলেন, আমাদের যারা এখনও সিনেমা বানাচ্ছেন, তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা দশ-বারো জন মিলে যদি একটি করে সিনেমা বানাই, তাহলেও বছরে ১২টি ভাল সিনেমা নিয়মিতভাবে নির্মিত হবে। এতে এফডিসির শিল্পী ও কলাকুশলীরা কিছুটা হলেও বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। তারা কাজের সুযোগ পাবে। কোনো রকমে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে পারবে। এখন তো তারা কিছুই করতে পারছে না। এক প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, হিন্দি সিনেমা আমদানি বন্ধ করে ভারতের বাংলা সিনেমা আমদানি করা যেতে পারে। সেগুলো বাংলা ভাষায় নির্মিত এবং আমাদের সিনেমার গল্পের সাথে মিল রয়েছে। কিছু অশালীন গান থাকলেও সেগুলো সেন্সরের মাধ্যমে বাদ দিয়ে মুক্তি দিলে কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, বাংলা সিনেমার সাথে বাংলা সিনেমার প্রতিযোগিতা হতে পারে। হিন্দি সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতা হতে পারে না। এটা আমাদের সংস্কৃতির বিপরীত এবং আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কাজেই, আমি মনে করি, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হলে হিন্দি সিনেমা আমদানি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। আগামীতে যে সরকার আসবে সে সরকার আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্টি বাঁচাতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেবে বলে আমি আশা করি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!