মোঃ আবু তালেব ,নবীগঞ্জ থেকে।
প্রতিটি নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা কটুর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারাই যদি দায়িত্ব নিতে উৎকোচ দিতে হয়। এটা কেমন কথা!এমন ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সনদপ্রাপ্ত ত্যাগী আনসার সদস্যদের ক্ষেত্রে। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকাশ-নবীগঞ্জ উপজেলার তিনজন ভুক্তভোগী খায়রুল নেছা,সোহেনা,ও ছবুর মিয়া তারা পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন-তাদের কাছ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপির অফিসার ফাতেমা খাতুন উৎকোচ নিয়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের হুসেন আলীর স্ত্রী খায়রুল নেছা হবিগঞ্জ জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ড্যান্টের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন তিনি একজন আনসার সদস্য। তার কাছে থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডির কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন নির্বাচনের গ্রুপ দেয়ার নামে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। ওই গ্রামের আলকাছ মিয়ার কন্যা সোহেনা আক্তার বিগত ২৮ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক নিকট লিখিত অভিযোগ করেন তার কাছ ও আনসার ভিডিপি অফিসার ফাতেমা খাতুন গ্রুপ দেয়ার নামে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। তিনি আরো ১০ হাজার টাকা না দিলে গ্রুপ কেটে দিবেন বলে হুমকি দেন। এমনকি গত ১৯ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কদ্দুছ মিয়ার পুত্র ছবুর মিয়া হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন-তার কাছ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন তার কাছ থেকে উৎকোচ দাবি করেন। দাবিকৃত উৎকোচ পরিশোধ না করায় তাকে ও নির্বাচনের দায়িত্বে দিবেন না বলে জানান। তিনজনের পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোহে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও তাদের টাকা ফেরত পাবার দাবি রেখেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে -তিনি বলেন-তার বিরুদ্ধে যারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তাদেরকে তিনি চিনেন না এবং উৎকোচ নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। অপরদিকে আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক অভিযোগ দেয়ায় নবীগঞ্জের আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে।