1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
কবি আমির হামজা”—ইউটিউব চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক - Bikal barta
২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| সোমবার| রাত ১০:১৫|
সংবাদ শিরোনামঃ
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে আন্ত: কলেজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন।  খুলনায় ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত  শেরপুর জেলায় পৌরসভার চারু ভবনে গ্রন্থাগার উদ্বোধন শেরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান বেলকুচিতে নিখোঁজের তিন দিন পর যমুনার শাখা নদী হতে আবুবক্কার সিদ্দিক আবিরের ভাসমান লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ  শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দুঃস্থ অসহায় শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। শোক সংবাদ চকরিয়ায় আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাঃ)ফাউন্ডেশনের কর্তৃক আয়োজিত  A+প্রাপ্ত কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ইউএনও সহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

কবি আমির হামজা”—ইউটিউব চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩,
  • 60 জন দেখেছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার-

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম(বার)পিপিএম কবি আমির হামজা” শিরোনামে ইউটিউব চ্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় কবির পরিবার থেকে কবির ছেলে
যশোর জেলা পরিষদের সিইও মো: আসাদুজ্জামান,ও পরিবারের সদস্য সহ কেএমপির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ,সঙ্গীত পরিচালক পলাশ ঢালী,সুরকার হাফিজুর রহমান ও Youtuber MD Liton Hosain উপস্থিত ছিলেন।কেএমপি কমিশনার কিংবদন্তীর কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর গাওয়া কবি আমির হামজা’র কালজয়ী “ জয় বাংলা জয়” গান বাজিয়ে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসম অতিথিরা কবির গান শুনে কবি সম্পর্কে অনেক আলোচনা করেন। এখন এই মুক্তিযোদ্ধা ও কবি তার সম্পর্কে তুলে ধরবো।কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই গুনী কবি? মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নিভৃত গ্রাম বরিশাটের বাসিন্দা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আমির হামজা। জীবনজুড়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমকে ধারণ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে জন্ম নেয়া দীর্ঘদেহী আমির হামজা মধ্য বয়সে সংসারের মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দেন। ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। সে সময় রাইফেলের পাশাপাশি ধরেছিলেন কলমও। মহানায়কের কণ্ঠ যেন ধ্বনিত হয়েছে তার লেখা কবিতায়। দেশ স্বাধীন হলো যুদ্ধজয়ী বীরের দল যে যার ঘরে ফিরে গেল। কবিও ফিরলেন, তবে মনটা তার আটকে ছিল বঙ্গবন্ধুতেই। কবির পরিবার থেকে জানা যায় তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলোনা তবু তার লেখা কবিতা ও গানের শব্দ চয়নে যে গভীরতা, তা যেকোনো মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তিনি লিখেছেন- ‘যে ক্ষতি তুমি করিতে পারো না পূরণ/কেন সেই মহাপ্রাণ করিলে হরণ/কারে নিয়ে বলো আজ কবিতা লিখি/একটি মুজিব এনে দাও তো দেখি…।’ অথবা ‘এই প্রার্থনা বঙ্গজননী, আমার কথা নিও/যুগে যুগে তুমি শেখের মতো দু’একটা ছেলে দিও।’
কবি আমির হামজা ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের বিখ্যাত কবিয়াল বিজয় সরকারের শিষ্য। অনেক বাঘা বাঘা কবিয়ালের সঙ্গে পালা ও কবিগানের টক্করে আসর মাতানো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে তার। সমগ্র গ্রামবাংলা ছিল কবি আমির হামজার বিচরণক্ষেত্র। বাংলার সংস্কৃতির বাহক হিসেবে জারি ও কবিগানের মধ্যযুগীয় ধারাকে আধুনিকায়নে কবি আমির হামজার অবদান অনস্বীকার্য। মধ্যযুগীয় ধারায় কবিগানের মূল বিষয়বস্তু ছিল ধর্ম, পির-ফকির ও দেব-দেবীর পরস্পরবিরোধী মহিমা কীর্তন ও আদি রসাত্মক চিত্তবিনোদন। আধুনিক যুগে এর পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই ধারায় কবিয়াল আমির হামজা ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন। তিনি জারি ও কবিগানে দেশপ্রেম, প্রকৃতি, মাটি ও মানুষকে অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আমির হামজার লেখা একুশের পাঁচালী,বাঘের থাবা বই দুটি যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আমির হামজার ছেলে মোঃ আছাদুজ্জামান তিনি কবির লেখা বই প্রকাশ করেন।সেই বইটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন কবি লেখকদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। যারা পত্র পত্রিকা পড়েন তারা তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন।খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস কবি আমির হামজাকে নিয়ে ২০২২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন একটি নাটক রচনা করেন। নাটকটির নাম দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আমির হামজা। সেই নাটকটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিনয় করে ফুটিয়া তুলেছিলেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন কবির ছোট ছেলে মোঃ আসাদুজ্জামান। সেই খবরটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছিল।ভারতের কিংবদন্তীর কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী ও অন্যান্য শিল্পীরা একাধিক গানে সুর দিয়ে প্রাণবন্ত করলেন।তার লেখা বাঘের থাবা, একুশের পাঁচালী বইটি সংরক্ষণ করে পড়ে দেখবেন তার বাস্তবতা যুদ্ধের স্মৃতি লিখে রেখে গেছেন এই দেশের বাস্তবতা, কিছু গান, কবিতার মাধ্যমে।সবার আলোচনার শেষে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজার অসাধারণ লেখার প্রশংসা করে কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক কবিকে স্মরন করে বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় সর্বশেষ কবির পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন আমার পিতার লেখা গান,কবিতা এবং ছবি এঁকে দিয়েছেন আমার বাবার রেখে যাওয়া লেখার যারা মূল্যায়ন করেছেন এবং আজকের উপস্থিতি সকল অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে শেষ করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!