কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম রফিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈষম্যের ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রজনতার উপর হামলার প্রধান ছিলেন এস এম রফিক। বিশেষ করে ৪আগষ্ট রফিক তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে নিজের নেতৃত্ব ছাত্রজনতার উপর হামলা চালায় এস এম রফিক। সেসময় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নাশকতা মামলার আসামি এস এম রফিককে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে গোপন সূত্রে জানাগেছে, এস এম রফিক বেশ কিছুদিন গাঢাকা দিলেন বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে কুমারখালীতে আওয়ামিলীগ সুসংগঠিত করছিলেন। আর তাই বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কুমারখালী যদুবয়রা সেতুর নিচ থেকে আটক করে এই যুবলীগ নেতাকে। পরবর্তীতে এস এম রফিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে রফিক আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গড়াই নদীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় নাশকতার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় রফিককে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, দুর্বৃত্তরা রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। তবে রফিক আওয়ামী লীগ করায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো.সোলায়মান শেখ বলেন, নাশকতা মামলার আসামি রফিককে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।