,,,,স্টাফ রিপোর্টার,,,,

নাটোরের লালপুরে বিএনপি নেতা সোহেল রানার বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, প্রাণনাশের হুমকি প্রতিবাদ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বুধবার (১২মার্চ ২০২৫) সকালে পালিদেহা শাহিনের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলন সোহেল রানা বলেন বিএনপির রাজনীতি কারার কারণে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রোসানলের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলাম। ৫ই আগষ্ট অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ গনহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে এবং বি.এন.পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার পরও কতিপয় বি.এন.পি নামধারী উক্ত গনহত্যার দ্বায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে সাথে নিয়ে ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নে পূর্বের মতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার নীল নকশা চলমান রাখে। স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট সরকারের কুচক্র মহল এবং বি.এন.পির মুখশধারী সুবিধাবাদী কিছু নেতা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ০২/০৩/২০২৫ ইং তারিখে আমি আমার ব্যবসায়ীক কাজ শেষে বাসায় এসে রোজারত অবস্থায় ইফতার প্রস্তুতি কালে আওয়ামী লীগের দোসর ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মোঃ মোজাহার খানের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী দলবদ্ধভাবে হইয়া পিস্তল, চাপাতি, রামদা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সু-সজ্জিত হয়ে আমার বাড়ীতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়ীর মেইন গেইট সামনে আমার ব্যবহৃত টিভিএস কোম্পানীর এ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ সিসি মোটর সাইকেলটি ভেঙ্গে ফেলে এবং বাড়ীর মেইন গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর করে ০৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৩,৭০,০০০/- (তিন লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা লুটপাট নিয়ে যায় এবং আমাকে সহ আমার পরিবার কে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে । আমি তাৎক্ষনিক ৯৯৯ এ ফোন করে অবগত করি। লালপুর থানা পুলিশ এসে আমাদের স্বপরিবারে সদস্যদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি ।

এই ঘটনার পর গত ০৬/০৩/২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ৪:০০ ঘটিকার সময় ফারহান ইলেকট্রিকের কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী মোজাহার খান ও তার দলবল পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে তার বাড়ীর সামনে অবস্থান করছিলেন এই সময় ফারহান এর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। সে প্রাণ নাশের ভয়ে তার ব্যবহৃত বাজাজ কোম্পানীর ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় ফারহানকে লক্ষ্য করে মোজাহার মেম্বার এলোপাথারি গুলি চালায় এবং ফারহানের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে পরে। পরে লালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে মোজাহার মেম্বার বাদী হয়ে আমাকেসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ১১/০৩/২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার নাটোরের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আমাদের ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন । আমি এই ঘটার তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসহ আমাদের পরিবারের লোকজনের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি ।