(এস,এম,আলতাব হোসেন —বিশেষ প্রতিনিধি) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৮নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দেউলমুড়া গ্রামে পুরনো বগুড়া রোর্ডস্থ দক্ষিণ এবং সুরমা ইট ভাটার সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বের বসবাস রত ঘর থেকে দুইটা বীজ দেওয়া আড়িল/ষাঁড় গরু ও ৪ টা বীজ দেওয়া পাঠা ছাগল মালিক মোঃ সুলতান মাহমুদকে খুঁটির সাথে বেধে এক দল ডাকাতেরা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ডাকাতিরা নাকি ছিল কালো রঙের মুখোশ পড়িহিত। গরু ও পাঠা ছাগলের মালিক মোঃ সুলতান মাহমুদ -(৫৫) পিতা মৃত মনছের সাকিদা।গ্রামঃ ঘুঘুমারী,ডাকঘর +ইউনিয়ন -চন্দন বাইশা, উপজেলা -সারিয়াকান্দি, জেলা -বগুড়া।সুলতান মাহমুদের দুই ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী থাকে গ্রামের বাড়িতে। সুলতান মাহমুদ গত দুই বছর যাবত গরু ও ছাগলের গর্ভ ধারণের জন্য বীজ দিয়ে থাকেন। সেই উদ্দেশ্য তিনি এখানে বাস করেন। জায়গার মালিক মোঃ মজিদ সেখ-(৬০),পিতা মৃত -এনছাব আলী সেখ।গ্রামঃ দেউলমুড়া। তার কাছ থেকে মাসিক ২০০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়ে এই বীজ দেওয়া ব্যবসা করতে থাকেন। সে খুবই অসহায়, দরিদ্র ও অসুস্থ। যার কারণে সে এই ব্যবসা বেচে নেন।তার স্ত্রী গত পরশু অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে এখানে এসে রাত্রে থাকে এবং পরের দিন শনিবার সকালে চলে যায়। সুলতান মাহমুদ রাত্রে আড়িল/ষাঁড় গরু ও পাঠা ছাগল নিয়ে ঐ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম থেকে জেগে উঠে পায়খানার উদ্দেশ্যে দরজা খুলা মাত্র ডাকাতরা তাকে ধরে রশি দিযে খুঁটি সাথে বেধে ফেলে এবং চোখ বেধে ফেলে তার ব্যবহৃত মাফলাট দিয়ে। ডাকাত দলেরা যাওয়ার পরে ইট ভাটার নাইট গার্ড মোঃকালাচাঁন-৬৫,পিতা-মৃত-পচা খান, সাং দেউলমুড়া, ডাকঘর +ইউনিয়ন- হাট পাংগাসী। কথা বা চেচামেচির শব্দ শুনে রাস্তায পশ্চিম দিকে লাইটের আলো ধরলে দেখতে পাই যে, গাড়ীতে গরু ও ছাগল নিয়ে পূর্ব দিকে এগিয়ে আসছে। সে রাস্তায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার উপর দিয়ে গাড়ী চালানোর চেষ্টা করলে সে লাফ দিয়ে সরে যায়। শুরু করে চিৎকার। তার চিৎকারে ছুটে আসে ১।মোঃ ছানোয়ার (৪০),পিতা – মোঃ কুদ্দুস, গ্রাম+ইউনিয়ন -বহুলী,২।মোঃ আলাউদ্দিন -৩০,পিতা -মৃত- মগরব আলী মন্ডল। গ্রাম-রৌহা,ডাকঘর +ইউনিয়ন -ধানগড়া। তারা এসে তাকে বাধা অবস্থায় পায়।বাঁধন মুক্ত করে তার কাছ থেকে সবকিছু শুনেন।পরে আরও লোকজন আসতে থাকে। সুলতান মাহমুদের বাড়িতে খবর পাঠালে তার স্ত্রী ও ছেলেরা এসে রায়গঞ্জ থানায় জানায়।থানা থেকে পুলিশ আসে।পরে সদর থানা ও সলঙ্গা থানা থেকেও পুলিশ আসে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ সুলতান মাহমুদ ও তার ছেলেকে নিয়ে থানায় নিয়ে যান।থানাতে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ডাকাতি হওয়া গবাদিপশু গুলোর মূল্য প্রায়-৬০০০০০ (ছয় লাখ) টাকা হতে পারে।