*হোটেলগুলোতে চলছে মাদক ব্যবসা!
*হোটেল গুলোতে প্রশাসনে নজরদারি নেই!
*হোটেল গুলোতে মাদক সেবীর আড্ডা!
*সিলেটের যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে!
নিজস্ব প্রতিবেদক>>
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রমরমা দেহব্যবসা চললেও দেখার কেউ নেই। এই অসামাজিক ব্যবসার আড়ালে চলে মাদক সেবন, বিক্রি ও রাতভর জুয়ার আসর।
অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীগ নতা পরিচয়ে তোফায়েল ও তাহার সহযোগী কয়কজনের নেতৃত্বে কতিপয় অসাধু পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আবাসিক হোটেল গুলোতে চলে এসব কর্মকাণ্ড । মাঝে-মধ্যে এসব হোটেলে অভিযান চালানো হলেও থামে না অপরাধমূলক কার্যকলাপ। আরো অভিযোগ আছে উপরে উল্লেখিত এসব অভিযুক্তরা সিলেট থেকে কমবয়সী মেয়েদের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধু তাইনা নারী ও শিশু পাচারেও তাদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। তাদের সিন্ডিকেটে আছে পতিতা সর্ধারিনী নাইমা, লিলি,ফারহানা, ইঞ্জিনিয়ার মরিয়ম পারভীন সহ কয়েকজন মুখোশধারী যুবমহিলালীগ নেত্রী।
স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,অনেক দিন ধরে এসব হোটেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোরীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে প্রভাবশালী তোফায়েল গংদের মতো অপরাধী চক্র। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মালিক ও ম্যানেজাররা এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। মাঝে মধ্যে অভিযান হলে এসব হোটেলের ম্যানেজার আটক হলেও মালিক এবং দালালরা কখনই আটক হয় না। ফলে বন্ধ হয় না অসামাজিক কার্যকলাপ।
এছাড়াও পতিতাবৃত্তির পাশাপাশি এসব হোটেলে সারারাত ধরে চলে জুয়ার আসর। স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব হোটেলের ম্যানেজারের কাছে রয়েছে একটি বিশেষ কলিং বেল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই ম্যানেজার সেই বেল টিপে জুয়াড়িদের সতর্ক করে দেন এবং জুয়াড়ি ও খদ্দেররা সটকে পড়েন। এসব আবাসিক হোটেল, জুয়া, ও মাদকের আস্তানা থেকে অপরাধী চক্রটি সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বড় অংকের চাঁদা পেয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার, চাঁদনি ঘাটে হোটেল আল তাকদীর, কদমতলীর হোটেল তিতাস,হোটেল প্রবাস,হোটেল মার্টিন,হোটেল কয়েছ, হোটেল আল আকিব,হোটেল রুচি, হোটেল যাত্রী সেবা,হোটেল আকাশ,হোটেল সাগর, পুরাতন রেল স্টেশন রোডের নিউ বিরতি,হোটেল পদ্মা,হোটেল মেঘনা, হোটেল রাজধানী, হোটেল কাশ্মির,হোটেল টার্মিনাল ইন, চলছে এসব অবৈধ কার্যকলাপ।
এছাড়াও দক্ষিণ সুরমার ২৬ নং ওয়ার্ডের কুমিল্লাপট্টি , কদমতলী , বালুরমাট, পুরাতন রেলস্টেশন কলোনীসহ আরোও বিভিন্ন কলোনি এবং বাসায় অবাধে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। মেতরপট্টিতে মাদক ব্যবসায়ী মজনু-রহিমার নেতৃত্বে চলে অসামাজিক কাজ। জিঞ্জিশাহ্ মাজার সংলগ্ন বাশপালা মার্কেটের পিছনে জুয়ারী আবুল কাশেমের সুরমা মহলে জুয়া-মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চলে অসামাজিক কাজ। যেখান থেকে গত ২৬জুন চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশ।
বালুরমাটে জুয়ারী বাচনের নেতৃত্বে জুয়ার পাশাপাশি মাদক সেবন,বিক্রি ও কলোনীতে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।
কোকনের মাছের দোকানের উপরে বাবনা হোটেলের উপরে শিপন ও আছকরের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাত ১১ টার পর থেকে ফজর পর্যন্ত জুয়া চলে।
দক্ষিন সুরমার সচেতন মহল এসব অপরাধীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নিতে ২০১৮ইং সালের ৯ জানুয়ারী সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি দেন। কিন্তু বন্ধ করা যাচ্ছেনা এসব অপকর্ম। এসব অপরাধ বন্ধে স্থানীয় সচেতন মহল যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।