মোঃমাহাবুবুর রহমান (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসে আদ্রতা,সব মিলিয়ে অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ কালিগন্জ জনজীবন। এ পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
কালিগন্জ উপজেলার এিলোচনপুর ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী বলেন,এই গরমের মধ্যে ফুটপাতে ব্যাবসা করা খুব কষ্ট হয়ে গেছে, এই গরমের বাইরে থাকা খুব কষ্ট।
তীব্র গরমে বাজারে মানুষ কম থাকায় আয় ইনকাম কম হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে জামা ভিজে আবার শুকাচ্ছে।
তবুও কাজ তো করতেই হবে।
না হলে খাবো কি? অতিরিক্ত রোদের মধ্যে একটু বাইরে থাকলেই মুখ শুকিয়ে যায়। শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝড়ে। এ দিকে অতিরিক্ত গরম ও তাপের কারনে এলাকার টিউবওয়েল গুলো তে পানি শূন্যতার দেখা দিয়েছে।
এলাকার বেশির ভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠতেছে না, যার কারনে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় টিউবওয়েল বডিং মিস্ত্রি কামরুল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে গেছে যার কারনে পানি উঠতেছে না। এভাবে চলতে থাকলে পানির লেয়ার আরো নিচে নেমে যাবে। তিনি আরও বলেন একটু বৃষ্টি না হলে আর স্বস্তি নেই।
বৃষ্টি হলে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হবে এবং পানির লেয়ার উপরে উঠে আসবে।
আর যদি বৃষ্টি না হয়ে এভাবে চলতে থাকে তাহলে জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ হবে না। এ দিকে তপ্ত আবহাওয়ায় সর্দি, জ্বর, চর্মরোগ, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, হিটস্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া সহ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আক্রান্তের মধ্যে শিশু কিশোর, বৃদ্ধ সহ সব শ্রেণীর মানুষ
রয়েছে।
তবে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে নানা শ্রেণীর মানুষ।
কালিগন্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, জেলা সিভিল সার্জন স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা প্রচন্ড তাপমাত্রায় জরুরি কাজে বা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হয়ে ঘরেই অবস্থান করবো, ভারী শারীরিক পরিশ্রম পরিহার করা।তাপ প্রবাহের সময় দিনের বেলা বাইরে বের হলে ঢিলে ঢালা, আরাম দায়ক সুতি কাপড় পরিধান করা, ছাতা/রোদ চশমা /সানস্ক্রিন ক্রিম/ বড় টুপি/ক্যাপ ব্যবহার, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ খাবার পানি পান,মৌসুমি সহজলভ্য রসালো ফলমূল খাওয়া ও নিরাপদ খাবার গ্রহন।তীব্র গরমে মাথা ব্যাথা, জ্বর, মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব সহ শারিরীক অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অথবা নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি গরমে ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণ লবণ পানি বের হয়ে যাওয়ায় ঘাটতি পূরণ করতে স্যালাইন পান করতে বলেন।