1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তের চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যের ২য় পর্বে জৈন্তাপুর উপজেলা - Bikal barta
৪ঠা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| সকাল ১০:৩৮|
সংবাদ শিরোনামঃ
এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর আশিক গ্রেফতার বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র কাফেলা, যুব কাফেলার ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে মাটি চাপায় নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু  ভাঙ্গায় ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত  বীরগঞ্জে আহত লিমনের পাশে উপজেলা সমবায়ী এসোসিয়েশন  পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব শ্রমিক দিবস পালন কাউনিয়ায় অষ্টম বার্থডে ওপেন ব্রীজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত  কুমারখালীতে যুবলীগ নোতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করলো ছাত্রদল কুড়িগ্রামে নতুন নেতৃত্ব পেল জেলা এনসিটিএফ  নীলফামারী রিপোর্টার্স ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা 

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তের চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যের ২য় পর্বে জৈন্তাপুর উপজেলা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪,
  • 161 জন দেখেছেন

 

এ.এ. রানা:: সিলেটের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে চার উপজেলার ৮০টি স্থান দিয়ে ভারত থেকে আসছে গরু-মহিষসহ নানা ধরনের পণ্য ও মাদক। এর মধ্যে আছে চিনি, পেঁয়াজ, চা পাতা, শাড়ি, জামা, প্রসাধনসামগ্রী, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, জুতা, টায়ার, ওষুধ ও যানবাহনের পার্টস। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানিদের যেন উৎসব চলছে। ঈদ সামনে রেখে দিন-রাত পণ্য আনা হচ্ছে।

সরেজমিন বিভিন্ন স্পটে দেখা গেছে, গরু ও মহিষের চালান সীমান্ত পার করে এনে নির্দিষ্ট স্থানে মজুত করার পর সময় বুঝে ট্রাক কিংবা অন্য যানবাহনে পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যে। চিনি, পেঁয়াজ, মাদক, প্রসাধনসামগ্রী ও কাপড়ের বস্তা বা কার্টন শ্রমিকরা হাতে-পিঠে-মাথায় করে নিয়ে আসছেন। সীমান্ত পার করে নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতাসহ জনপ্রতিনিধিরা। তাদের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, বিজিবির নাম করে টাকা নেওয়া হয়। অনেক পয়েন্টে আবার বাহিনীর সদস্যরা টাকা নেন। প্রতিদিন চোরাচালান পণ্য থেকে ৪০-৫০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এগুলো বিভিন্ন জনের পকেটে যায় বলে জানা গেছে।

গত মাসে জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ৮১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করে। এ ছাড়া ১২৫ বস্তা চিনিসহ তিনজনকে আটক করে। মহানগর পুলিশ নগর এলাকা অতিক্রম কিংবা প্রবেশকালে দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য ছাড়াও এক হাজার বস্তা চিনি জব্দ এবং সাতজনকে আটক করে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। তবে পুলিশ-বিজিবির অভিযানে জব্দ পণ্য মোট চোরাই পণ্যের এক হাজার ভাগের এক ভাগ হবে বলে অনেকে মনে করেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর সীমান্তে বেশি চোরাচালান হয়। এর পর আছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা। এ ছাড়া জকিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ করে। ৮০টি স্থান দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য আসে। অবৈধভাবে পণ্য আসার কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বেশির ভাগ চোরাচালান হয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। জৈন্তাপুরের হরিপুর বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করেন চোরাচালান। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকার আরও ১০০ জনের মতো ব্যবসায়ী রয়েছেন। জড়িত রয়েছে সিলেট নগরীর কিছু লোকও। পণ্যের বিপরীতে তারা হুন্ডিসহ বিভিন্নভাবে টাকা পরিশোধ করে থাকেন। এসব ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন চোরাচালানে। ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। সীমান্ত পার করায় নিয়োজিত থাকেন একশ্রেণির শ্রমিক। তারা পণ্য বহনের জন্য রাস্তার দূরত্ব বুঝে পারিশ্রমিক পান। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের কখনও ফাঁকি দিয়ে, কখনওবা ম্যানেজ করে পণ্য আনা হয়। যারাই যে মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসেন, টাকা দিতে হয়। ‘লাইনম্যান’খ্যাত লোকজন টাকা তোলে। লাইন নিয়ন্ত্রণ করেন প্রভাবশালীরা। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। সীমান্ত পার করার পর পণ্য এলাকার বাড়ি কিংবা দোকানসহ নিরাপদ স্থানে মজুত করা হয়। পরে সেখান থেকে ট্রাক, পিকআপে হরিপুর বাজার কিংবা অন্য জায়গায় পাঠানো হয়।

জৈন্তাপুর সীমান্ত

জৈন্তাপুর সীমান্তের ৩০টি স্পট দিয়ে চোরাচালান হয়। সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন বাড়িতে, জঙ্গলে, পাহাড় ও টিলার আড়ালে গরু-মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকে। সন্ধ্যার পর উপজেলার নলজুরী, মোকামবাড়ী, আলুবাগান, শ্রীপুর, মোকামপুঞ্জি, মিলাটিলা, ছাগল খাউরী, কাঁঠালবাড়ী, আদর্শগ্রাম, কেন্দ্রী হাওর, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, করিমটিলা, গুয়াবাড়ী, বাইরাখেল, জালিয়াখলা, লালাখাল, জঙ্গীবিল, বালিদাঁড়া, বাঘছড়া, সিঙ্গারীপাড়, সুরাইঘাটসহ কয়েকটি এলাকা দিয়ে গরু-মহিষসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা হয়। গরুসহ কিছু পণ্য স্থানীয় হরিপুর বাজারে বিক্রি হয়। পুলিশের নামে শফিকুল হক, বিজিবির নামে আবদুস সামাদ, আরমান, আবদুল জব্বার ও রুবেল টাকা উত্তোলন করেন। থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মূলত চোরাচালান রোধ বিজিবির কাজ। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। প্রায় প্রতি সপ্তাহে পণ্য জব্দ ও লোক আটক করা হয়। পুলিশের নামে কেউ টাকা উত্তোলন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলবে

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!