বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুস সালাম মিন্টু:
গাইবান্ধা সদরে ফেরদৌসী আক্তার জিতু(১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ভালোবাসার প্রেমিককে ৫ লক্ষ টাকা না দিতে পেয়ে ঘুমের ঔষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৪ মার্চ রবিবার দুপুর ২.৩০টায় রংপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা ৫ নং বল্লমঝাড়
ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ খোলাবাড়ী গ্রামের সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান মিলনের দ্বিতীয় মেয়ে ফেরদৌসী আক্তার (জিতু) সে গাইবান্ধা আসাদুজ্জামান কলেজ এর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছাত্রী বয়স ১৮ বছর । বল্লমঝাড় মাঠের পাড় মোঃ জামিল এর দ্বিতীয় ছেলে মোঃ শহীদ বয়স ২২ সে কৌশলগত দিক অবলম্বন করিয়া সুকৌশলে মোছাঃফেরদৌসী আক্তার জিতুর সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর হলে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।সুকৌশলী শহীদ মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট ক্যাপসুল খিলিয়া মেয়েকে অজ্ঞানপূর্বক ব্যবহার করে ।জানা যায় মোঃ শহীদ একজন প্রতারক .ভালোবাসার নামে বিভিন্ন মেয়েদের নিকট হইতে টাকা হাতিয়ে নেয় ।আরো জানা যায় সে মেয়েদেরকে বলে যে আমার চাকরি হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে নচেৎ আমি তোমাকে বিবাহ করিব না ফেরদৌসি আক্তার জিতু কে গত ২২/০৩-২৩ ইং তারিখে জানান যে আমার আগামী ২৪/০৩/২০২৪ ইং তারিখে পুলিশের ভাইভা পরীক্ষা আছে তোমার পিতা মাতার নিকট হইতে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে নাও উক্ত টাকা আমাকে দিতে হবে নচেৎ আমি তোমাকে বিবাহ করিব না ।সহজ সরল ফেরদৌসী আক্তার জিতু নিরুপায় হইয়া পিতা মাতা কে বিষয়টি অবহিত করেন ।পিতা মাতা নিরুপায় হইয়া ২২/৩/২০২৪ ইং তারিখে দশ ঘটিকার সময় শহীদ এবং তার পিতাকে ফেরদৌসী আক্তার জিতু তার পিতার বাড়িতে আসতে বলে সু কৌশলী শহীদ না আসায় মেয়ের পিতা ট্রিপল নাইনে ফোন করিয়া বিষয়টি অবগত করেন ট্রিপল নাইন গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানার মুঠো ফোন নাম্বার মেয়ের পিতা কে প্রদান করেন মেয়ের পিতা গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সহিত মুঠোফোনে আলাপ-আলোচনা করে এবং ৫ লক্ষ টাকা লাগিবে বলিয়া অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেন কিন্তু অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদ মিয়াকে একজন প্রতারক বলে গণ্য করে ।উক্ত শহীদ কে প্রতারক হিসেবে গণ্য করিলেও মেয়ের পিতা গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।অফিসার ইনচার্জ জানান যে থানায় আমাদের এ ধরনের কোন ওয়াকশন নাই ।মেয়ের পিতা নিরুপায় হইয়া তার পরিবার পরিজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে পরামর্শ করেন ।এবং মেয়েকে বুঝানোর চেষ্টা করেন মোঃ শহীদ ফেরদৌসী আক্তার জিতুকে এমন কিছু বুঝিয়াছেন যে মেয়ে শহীদ এর কথা ছাড়া অন্য কারো কথা কর্ণপাত করেন নাই ।এইভাবে দিন গত হইলও গত ২৩/৩/২০২৪ ইং তারিখে ডিসিপিন২ নামীয় নয় দশটি ঘুমের ট্যাবলেট পরিবারের সকলের অগোচরে ঘুমের ট্যাবলেট পান করেন ।রাত্রি ২টার সময় ফেরদৌসি আক্তার জিতু অসুস্থ হইলে জিতুর মাতা মোছাঃ আফরোজা বেগম ও মেয়ের পিতা মোঃ মিজানুর রহমান মিলন মোঃ গোফফার মিয়া এর অটো বাইক যোগে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফাড করেন ।ফেরদৌসী আক্তার জিতু এর পিতা মাতা অ্যাম্বুলেন্স যোগে দূরত্ব রংপুর প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করেন ।কর্তব্যরত চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে ফেরদৌসি আক্তার জিতু কে আই সি ইউ তে লাইভ সাপোর্টে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে থাকেন ।কিন্তু ফেরদৌসী আক্তার জিতুর শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হইয়া অবনতি হইতে থাকে এমতাবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক গত ২৪ /৩ /২০২৪ইং তারিখে ২.২৭সময়ে ফেরদৌসি জিতুকে মৃত্যু ঘোষণা করেন ।ফেরদৌসী আক্তার জিতুর মৃত্যু দেহ তার পিতা-মাতা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন ।এবং ৫ নং বল্লমঝাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহিত মেয়ের পিতা আলাপ আলোচনা করিয়া গাইবান্ধা সদর থানায় অফিসার্স ইন চার্জ নিকট মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করেন ।অফিসার ইন চার্জ একটি ইউ ডি মামলা দায়ের করিয়া মৃত্যু দেহ এস আই মমিনুল ইসলাম এর সঙ্গী ও ফোর্স সহ গাইবান্ধা সদর থানায় নেন ।গত ২৫/৩/২০২৪ ইং তারিখে এসআই মমিনুল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোস সহ ফেরদৌসী আক্তার জিতুর মৃত্যু দেহ গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন ।উক্ত ঘটনায় গাইবান্ধায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গাইবান্ধা বাসি সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছেন ।