বিকাল বার্তা ডেস্ক::
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন সিলেটের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমান। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন তিনি। অবশেষে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন ডা. জোবাইদা রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ সাদিক। তিনি বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি আগামী ৫ মে দেশে ফিরবেন। আহমেদ সাদিক জানান, খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ৫ মে সোমবার কাতার আমিরের এয়ার এম্বুলেন্সে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন। পরদিন তাঁদের বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে ১৭ দিন দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরছেন তিনি। ডা. জোবাইদা রহমান ছাড়াও দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার সঙ্গী থাকছেন আরও ৭ জন। তাঁরা হচ্ছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক। ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০২৩ সালের এক রায়ে ঢাকার একটি আদালত জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। তবে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আদালতের দেওয়া ওই সাজা স্থগিত হয়। ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং পরবর্তী সময়ে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে স্বামীর চিকিৎসার জন্য শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডনে গেলে দ্বিতীয় দফায় ছুটি বাড়ানোর পরও কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ডা. জোবাইদা রহমানের জন্ম সিলেট দক্ষিণ সুরমার উপজেলার সিলাম ইউনিয়নে। তিনি প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান এর ছোট মেয়ে। মাহবুব আলী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তী সময়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময় যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি এবং বাংলাদেশের একমাত্র, বঙ্গবীর উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী বীর উত্তম (এম.এ.জি ওসমানী) তাঁর চাচা।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ