স্টাফ রিপোর্টার:-আজ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা পলাশবাড়ি উপজেলার জুনদহ এলাকার এম এম বি ব্রিকস নামক অবৈধ ইট ভাটা ভেঙ্গে দিতে গেলে বাধার সম্মুখিন হয আভিযানিক দল টি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলাউদ্দিন ভুইয়া এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সেপেক্টর শের আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বাধা প্রদান করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামাদ সহ স্থানীয়রা।
তবে অভিযোগ রয়েছে অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আইনগত ভাবে শক্ত অবস্থানে থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সেপেক্টর শের আলী বিশেষ কোন সুবিধা নিয়ে কখনও অতিরিক্ত গরম, আবার কখনও স্থানীয়দের দোহাই দিয়ে লোক দেখানো অভিযান সম্পন্ন করেন।
তবে ভাটা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত ভেকুর ড্রাইভারের সাথে স্থানীয় বিএনপির সভাপতির সাথে ভাটা না ভাঙ্গার কথা বলার সময় শের আলি কেও সমঝোতা মুলক কথোপকথন করতে দেখা যায়।
পরিবেশে অধিদপ্তরের ইন্সেপেক্টর শের আলির কাছে এবিষযে জানতে চাইলে তিনি দায় সারা ভাবে স্থানীয়দের এবং লজিষ্টিক সার্পোট কম থাকার অজুহাত দেখান এবং এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু না করার কথা বলেন। অথচ সেনাবাহীনির একটি দল এবং পুলিশ প্রশাসন সেখানে উপস্থিত ছিল।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলাউদ্দিন ভুইয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান মহামান্য হাই কোর্টের আদেশের উর্দ্ধে আমরা কেউ না, তবে পরিবেশ কর্মকর্তা কেন লজিস্টিক সার্পোট না থাকার কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে সেটি বোধ গম্য নয। তিনি আরো বলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামাদ সাহেব এই কার্যাক্রম বন্ধের জন্য হাই কোর্টের একটি ভিত্তিহীন কাগজ নিয়ে এসে আমাদের কার্যক্রম বাধা গ্রস্থ করার চেষ্টা করে যার কোন ভিত্তি ছিল না। পরে তিনি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।
এদিকে, গার্ডিয়ান অব ক্লাইমেট এ্যাকশনের সভপতি মো: মারুফ মিয়া জানান অবৈধ সকল ইট ভাটা তো অপসারন করতেই হবে, তবে অতি দ্রুত বিদ্যালয় এবং লোকালয় সংলগ্ন সকল ইট ভাটা অপসরনের দাবিও জানান। তিনি আরো বলেন আমরা শহরে মানববন্ধন করেছি এতেও যদি প্রশাসনের টনক না নড়ে তবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি সহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জেলার সকল সচেতন মহলকে সাথে নিয়ে।
এ দিকে জেলার সুশিল সমাজ মনে করছে এটা প্রশাসনের শুধু মাত্র আই ওয়াশ, যদি তাই না হবে তবে জেলা সদরে এতগুলো অবৈধ ইট ভটা দৃশ্যমান থাকলেও কোন অদৃশ্য কারনে সে গুলো না ভেঙ্গে জরিমানা করার নামে লুকোচুরি খেলছে, নাকি মহামান্য
হাইকোর্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের সকল অবৈধ ইট ভাটা ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মহমান্য হাই কোর্টের আদেশ থাাকা সত্বেও মানবিক কারনে গত দু মাসে জেলার এসব ইট ভাটা মালিকদের সময় প্রদান করলেও তারা তা না মেনে উল্টো তারা এসবের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করে। পরবর্তিতে জেলার ৫২ টি ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে বি এস টি আই।