1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেট পাসপোর্ট অফিস মার্কা সিন্ডিকেটে’র নিয়ন্ত্রণে!  - Bikal barta
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ৬:১০|

সিলেট পাসপোর্ট অফিস মার্কা সিন্ডিকেটে’র নিয়ন্ত্রণে! 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪,
  • 133 জন দেখেছেন

*পাসপোর্ট হলে দেশের উন্নয়ন হবে।

*প্রবাসীদের কষ্টের টাকা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন।

*প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ।

*বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির সম্মিলিত সিন্ডিকেট।

সিলেট থেকে বিকাল বার্তা প্রতিবেদক>>

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসরে পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের। সিলেট থেকে বিভিন্ন অনিয়ম থাকলেও তাকে বদলীর পরিবর্তে ঢাকা অফিসে প্রমোশন দিয়ে বদলী করা হয় গত সরকারের আমলে। বিগত সরকারের মদদ পুষ্ট মামুন সরকার বদলের পরও দুহাতে কামাচ্ছেন কাড়ি লক্ষ লক্ষ টাকা। তার কাছে সিলেট পাসপোর্ট অফিস কাঁচা টাকার খনি। নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে স্থানীয় কিছু সাংবাদিককে ম্যানেজ করে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সিলেটের কিছু সাংবাদিককে দিয়ে যাচ্ছেন অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা তাই সকলেই তার দূর্নীতি ও অপকর্ম করে যাচ্ছেন। বিনিময়ে প্রতিদিন কয়েকটি ফাইল ভাগিয়ে নিচ্ছেন।

 

সরকার বদল হলেও সিলেটে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস এখনও ‘মার্কার সিন্ডিকেট’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশী ঝামেলা আর অফিসের কর্মকর্তাদের সহজে বুঝানোর জন্য নির্ধারিত মার্কার ব্যবহার করছে দালাল, কর্মকর্তা, কর্মচারী আর বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির সম্মিলিত সিন্ডিকেট। এ রকম একটি দালাল চক্রের তালিকা এসেছে।

 

ভোক্তভোগীরা জানান- নির্ধারিত দালাল আর চিহিৃত মার্কার ছাড়া পাসপোর্ট করাই যাচ্ছেনা সিলেট আঞ্চলিক অফিসে। লাইনে দাড়িয়ে আবেদন করলেও কোনো না কোনো অযুহাতে আবেদনের ফাইলটি আটকিয়ে ২থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। দুটি সিন্ডিকেট রয়েছে অফিসের ভিতরে, অফিসের আনসার প্রহরী মোস্তফা কামাল ও পরিচালক মামুনের পিএ রুবেল আহমদ রাহাত, অফিস সহকারী জাকির হোসেন, ডিএডি শাহাদাৎ হোসেন। সকলে মিলে গড়ে তুলেছেন একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট। আর ট্রাভেলস এজেন্সি সহ কতিপয় সাংবাদিক নিয়ে গড়ে তুলেছেন আরেকটি সিন্ডিকেট। কারণ সিলেট পাসপোর্ট অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজই হচ্ছেনা। আবেদন জমা দিতে গিয়েও দালাল ধরতে হয়, লাইনে দাঁড়ালেও দ্রুত ভেতরে যেতে আনসার সদস্যদের ৫০ থেকে ২ শ টাকা দিতে হয়, ভেতরে আবেদনে ‘ভুল’ ধরে ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা করে নেওয়া হয়, ভেতরে টাকা গ্রহণ করে দালাল চক্র।

 

দুদক আর সেনা অভিযানের আতংকে ‘দালাল সিন্ডিকেট’ রক্ষায় গড়ে তোলা হয়েছে অফিসিয়াল ‘মার্কার সিন্ডিকেট। নতুন করে গড়ে উঠা এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছেন অফিসের পরিচালক ও সহকারী পরিচালক নিজেরাই। তাদের নিযুক্ত মার্কারদের ‘মার্ক’ ছাড়া গৃহীত হয়না পাসপোর্টের আবেদন। আর দু’একটা গৃহীত হলেও ফাইলবন্দী হয়ে থাকে দীর্ঘদিন। মাঝে মধ্যে উধাও হয়ে যায় আবেদনকারীর ফাইলটি। এখন ডিজিটাল হয়েছে ঘুষ গ্রহণের প্রক্রিয়া, হয়েছে মার্কার পরিবর্তন, পাসপোর্ট প্রতি নির্ধারিত ঘুষের টাকা পরিশোধ করতে হয় প্রতিদিন বিকালে। নগদ কিংবা বিকাশে গ্রহণ করা হয় সারাদিনের ঘুষের টাকা। পাসপোর্ট অফিসে লাগামহীন ভাবে চলছে ঘুষ বাণিজ্য।

 

সূত্রমতে- দালালরা আবেদন ফাইল প্রতি ১৫শত টাকা নিয়ে অফিসের নিযুক্ত কর্মচারীদের মার্কার গ্রহন করে লাইনে জমা করেন। প্রতিদিন অফিসে মার্কারদের মার্ক করা ফাইলগুলো পৃথক করে তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে টাকা গ্রহন করা হয়। যাদের ফাইলে ‘মার্ক’ নেই সেগুলোর অনেকটা বিভিন্ন অজুহাতে ফেরত দেয়া হয়। এডির নির্দেশে মার্কার ছাড়া ফাইল গুলি পৃথক করে সপ্তাহ থেকে দশদিন পর্যন্ত ফাইল বন্ধি করে রাখার পর পুলিশ অফিসে প্রেরন করা হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন যাওয়ার পর আবার সপ্তাহ-দশদিন বন্দী রেখে পরে ঢাকায় প্রেরন করা হয়। যার ফলে সরকারী ফ্রি পরিশোধ করেও নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট মিলেছেনা আবেদনকারীদের। বারবার ধর্না দিতে হয় অফিসের কর্তাব্যক্তি ও কর্মচারীদের কাছে। সরকারী নিধারিত ফ্রি থেকে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হয় আবেদনকারীদের। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানী ও সাংবাদিকদের নামে হুমকি দিয়ে থাকেন কর্মকর্তারা।

 

সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দৈনিক ৪ থেকে সাড়ে ৫ শ’ আবেদন ফাইল গ্রহন করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে ১০থেকে ২০টি আবেদন ‘মার্কার’ ছাড়া হয় এবং বাকি সবই ‘চ্যানেল মার্কার’ আবেদনই হয়ে থাকে। এভাবে চলছে সিলেট পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম।

 

আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক দেশের বাইরে যাচ্ছে আমরা গর্বিত। বাবা মা ভাই বোন সহধর্মিনী, আত্মীয়-স্বজন ফেলে রেখে শুধু অর্থের জন্য ছুটে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশ ।

 

দুর্নীতিবাজ পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা এই অর্থলোভী প্রবাসে রক্তের টাকা খাওয়ার জন্য বসে আছেন তাদের আইনগত ব্যবস্থা জরুরি প্রয়োজন? বাঁচবে দেশ আসবে অর্থ গড়বো আমরা গর্বিত সোনার বাংলাদেশ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!