স্টাফ রিপোটার।মোঃআলমগীর হোসেন:
দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সফরে যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য পরিবহন হিসেবে শ্যামলী বাসে আস্থা রেখে সর্বস্ব খুইয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে অচেতন অবস্থায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী জসীমউদ্দীনকে পাবনা গাছপাড়া এলাকার একটি তেল পাম্পের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার খালাইচ্যারবাড়ি গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে এবং তার সহযোগী জসিমউদদীন একই থানার মিনজিরীতলা গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ঈশ্বরদীর অরণকোলা গরুর হাট থেকে গরু ক্রয় করে চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করে আসছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। দীর্ঘদিনের এই ব্যবসায়িক যাতায়াতে কারণে শ্যামলী বাসের চালক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। সেই আস্থা ও ভরসায় অন্য দিনের মতো (গত সোমবার) ঘটনার রাতেও শ্যামলী পরিবহনের বাস যোগে চট্টগ্রাম থেকে ঈশ্বরদীতে রওনা করেন জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী জসিমউদদীন।
যাত্রাকালে কিছুক্ষণ পর বাসের সুপার ভাইজার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে বলেন, ভাই আপনি ঘুমাচ্ছেন না কেন, আপনি ঘুমান, না ঘুমালে বাজারে গরু কিনবেন কি করে, টেনশন করবেন না, আমি আছি আপনি ঘুমান। তাতেও জাহাঙ্গীর হোসেন না ঘুমানোয় কিছুক্ষণ পরে সুপারভাইজার দুটি পান এনে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীকে খেতে দেন। পান খাওয়ার পরই অচেতন হয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাসের সুপারভাইজার আমাদের অচেতন অবস্থায় পাবনার গাছপাড়ায় শাকিল নামে এক পরিচিত জনের কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। তবে আমার কাছে থাকার নগদ ১৭ লক্ষ আশি হাজার টাকা বুঝিয়ে দেননি সুপারভাইজার । পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসে সুপারভাইজার ডাকা হয়েছিল। পুলিশের একটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।