স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোঃ ফয়সাল উদ্দিন:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মোঃ ফরহাদ নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আবিষ্কার করেছে ড্রোন!!! দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জিনিসপত্র পাঠানো যাবে, ক্ষেতে কীটনাশক চিটানো যাবে এটি ব্যবহারের মাধ্যমে। ফরহাদের ড্রোন রিমোটের মাধ্যমে ও জিপিএস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একটি ড্রোন ক্রয় করবেন কিন্তু তার সেই আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সে ঝুঁকে পড়ে এটি তার হাতে পাওয়ার নেশায়। সেই প্রচেষ্টা থেকেই তার পথচলা শুরু এক পর্যায়ে সে বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট কিনে তৈরি করে ফেললেন পানির জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং সবশেষে একটি ড্রোন!!!! তার সাথে কথা বলে জানা যায় (তার চিন্তায়) যেহেতু আমাদের এলাকা নদীমাতৃক এলাকা যেকোনো সময় বন্যায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেজন্য তৎক্ষণাৎ বিপদগ্রস্ত এলাকায় অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ড্রোনের মাধ্যমে আদান-প্রদানের জন্য তার মাথায় এই চিন্তা ও প্রচেষ্টা সৃষ্টি হয়। ড্রোনটি মূলত “সেলফব্যালেন্সড ড্রোন” ল্যাপটপের মাধ্যমে যদি মিশন সেট করে দেয়া হয় তাহলে মিশনটা অটোমেটিকলি কাজ করবে এবং যতটুকু দূরত্ব সেট করে দেয়া হবে ততটুকু দূরত্ব থেকেই ফিরে আসবে এটি। যদি মিশন প্ল্যানিং করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সিগনাল জ্যাম অথবা অন্য কিছুতে এটা আটকানো সম্ভব নয় বলে জানায় ফরহাদ!!!!!!
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজির হাট বাজারের, বাজার ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দিনের ছোট ছেলে ফরহাদ। তিনি বলেন আমার ছোটবেলা থেকেই আমি খেলাধুলায় তেমন সময় না দিয়ে বাড়িতে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে আমার ভালো লাগতো এবং তখন থেকেই আমি মনেমনে বড় একটা আবিষ্কার করবো এরকম মন স্থির করি ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি খেলনা সহ নানা ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে সবাইকে চমকে দিতাম তবে এবার ড্রোন তৈরি করে সবাইকে এবার চূড়ান্তভাবে প্রতিভার জানান দিলাম এই আবিষ্কারের মাধ্যমে
তার বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার ফাঁকে সুযোগ পেলে সে খেলনা ও বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র বানাতো এ নিয়ে আমার পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতাম তবে ভালই লাগতো তার এসব কর্মকাণ্ডে। আমরা তাকে মাঝে মাঝে বিজ্ঞানী বলেও ডাকতাম এখন আমি বুঝতে পারলাম যে তার মধ্যে একটি সঠিক সৃজনশীলতা আছে এবং সেটা প্রমাণও করেছে সে । আমার স্বপ্ন আমার ছেলেকে আমি পড়ালেখা করিয়ে দেশের জন্য একটি সম্পদ হিসাবে তৈরি করে তুলব তবে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারসহ স্থানীয় সকলের একান্ত সহযোগিতা আমার কাম্য।