স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ গোলাম মোরশেদ
ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় আসন্ন কোরবানির চামড়া কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা, চামড়া কিনতে না পারলে সেগুলো চোরাকারবারির হাতে চলে যাবে। সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের শঙ্কায় আছেন তারা।
দেশের কোটি কোটি টাকার চামড়া পাচার হয়ে যাবে অন্য দেশে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চামড়ার আড়তগুলো থেকে পশুর চামড়া ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। তবে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন চামড়ার আড়তগুলোতে চামড়া কেনা নিয়ে নেই তেমন প্রস্তুতি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজার ধসে এমনিতেই লোকসান, তার ওপর ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া রয়েছে। তাদের বাকি দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক চামড়া ব্যবসায়ী।
এসব আড়তের চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা গত কয়েক বছরের কোটি কোটি পাওনা টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেননি। এ ছাড়া প্রতি বছর ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে চামড়া কেনায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় চামড়া পাচারের আশঙ্কাও থাকে এখানে বেশি। সেই সঙ্গে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রধান কাঁচামাল লবণের দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তাই বকেয়া টাকা পরিশোধে ট্যানারি মালিকরা যেন উদ্যোগ নেন, সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোও যেন সহজ শর্তে ঋণ দেয়, এ বিষয়ে সরকারকে সুদৃষ্টিও কামনা করেন এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
পাঁচবিবি উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ী অহেদুল হোসেন ছোটন বলেন, চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাচাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এ শিল্প লাভের মুখ দেখবে। কোরবানির আগে পুঁজি সরবরাহ করে চামড়াশিল্পকে সচল রাখবেন ট্যানারি মালিকরা এমনটাই প্রত্যাশা করছেন।
জয়পুরহাট চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শামিম আহমেদ জানান, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি চামড়াশিল্পের প্রসারে কাঁচামাল লবণের দাম স্থিতিশীল রাখাসহ চামড়া পাচাররোধ ও বকেয়া টাকা পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এ শিল্প টিকে থাকবে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদ নেওয়াজ জানান, সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচাররোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকার যেসব স্থান পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, সেই জায়গাগুলো সব সময় নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ