ভাঙ্গা (ফরিদপুর) -প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দু’ দল গ্রামবাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছে।
রবিবার(৪ মে) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত কুদ্দুস মোল্লা ওই গ্ৰামের হাজী হামেদ মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রম পুট্টি গ্রামের দবির মাতুব্বরের সাথে বজলু মুন্সির গ্রুপের লোকজনের মাঝে আধিপত্য ও পূর্ব শত্রুতা ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সোলেমান মুন্সি ও শাহ আলম এর সাথে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে উস্কানিমূলক কিছু কথা কাটাকাটি হয়।এর পর দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এসময় একজন নিহত হয় ও অনেকে আহত হয়৷
স্থানীয় জনতা ও ভাঙ্গা থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এদের কে নিয়ে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালীন মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ও গরু, ছাগল সহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। লুটপাটের ঘটনায় ওই এলাকার ওমর আলী মোল্লা, ওদুত, বাদুত নায়েকের ছেলে ও ,সাইম মোল্লা ও বাইজিত মুন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সংঘর্ষের পরের দিন সোমবার সকাল ৯ টার দিকে মেম্বার জলিল মাতুব্বারের এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘর লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বজলু মুন্সীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
লুট করা মালামাল ও গাবাদী পশু(গরু,ছাগল) ওই গ্রামের ওমর আলী মোল্লা ও রিজু মোল্লা এর বাড়িতে নিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।আজকে সকাল ১১টার দিকে কে বার কারা জলিল মেম্বার বাড়ি জানালা গ্লাস ভাঙচুর করেছে সংবাদ পেয়েছি। গরু চুরি ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।এলাকার ২৪ ঘন্টা অতিরিক্ত পুলিশ ফোস এলাকা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বক্ষণিক পুলিশ রয়েছে।