মোঃ শাহাদত হোসেন( শিবগঞ্জ বগুড়া প্রতিনিধি) :
বগুড়া সদর থানায় মামলা করতে আসা এক নারীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। পরে সেই টাকা অবশ্য ফেরত দিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে ওই নারী তার ৩ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন ও মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বাদী আফছানা জাহান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে।
আফছানা জানান, গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হাড্ডি পট্টি এলাকায় মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় তার মা শাহানা পারভিনকে মারধর করে একদল মাদক কারবারি। এ সময় ছোট বোন আরিফা রিক্সা ওই পথে অফিসে যাওয়ার সময় তার মাকে মারধর করতে দেখে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি গত রোববার ৩টায় মামলা করতে বগুড়া সদর থানায় যান।
আফছানা বলেন, থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ মামলার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা নেই বলার একপর্যায় হাতে থাকা ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে আরও ৭ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পরদিন আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি থানার ওসিকে জানান। পরে ওসির হস্তক্ষেপে ৩ হাজার টাকা ফেরত দেন এসআই জাহিদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই জাহিদ হাসান বলেন, টাকার বিষয়টি বাদীর সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে। মামলা লেখায় ভুলত্রুটি থাকায় গতকাল মামলা রেকর্ড হয়নি। আজ থানার কম্পিউটারে নতুন করে মামলা ড্রাফট করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘টাকা কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বাদী আমাকে জানানোর পর টাকা ফেরত পেয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদক কারবারি আশিক, তার স্ত্রী শাপলাসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।