1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
নড়াইলে কেমিক্যাল ছাড়াই শুঁটকি তৈরি ভীম বিশ্বাস'র - Bikal barta
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ৯:২৫|

নড়াইলে কেমিক্যাল ছাড়াই শুঁটকি তৈরি ভীম বিশ্বাস’র

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বুধবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪,
  • 145 জন দেখেছেন

 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে//
নড়াইলে কেমিক্যাল ছাড়াই শুঁটকি তৈরি ভীম বিশ্বাস’র।
নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভীম কুমার বিশ্বাস (৪০)। বেকার জীবনের অভিশাপ থেকে বেড়িয়ে আসতে তিনি কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই পুঁটি মাছের শুঁটকি তৈরি করে বছরে ১০-১২ লাখ টাকা আয় করছেন। তার এই শুঁটকি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। আগামীতে বিদেশে শুঁটকি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান,
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে মির্জাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠের এক পাশে বাঁশের তৈরি মাঁচায় রোদে শুকানো হচ্ছে পুঁটি মাছের শুঁকটি। ৪ থেকে ৫ জন শ্রমিক দিনভর মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে পুঁটি মাছ সংগ্রহ করে এখানে এনে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়।
শুঁটকি তৈরির কাজ করা শ্রমিক রাজ কুমার বলেন, বাজর থেকে ১৫০০-২০০০ হাজার টাকা মণ দরে পুঁটি মাছ কিনে আনা হয়। পরে মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে মাঠে সূর্যের রোদে শুকানো হয়। টানা ৭-১০ দিন রোদে শুকিয়ে বস্তায় ভরে শুঁটকি বিক্রি করা হয়। এই মাছ ২৪ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি প্রস্তুতকারক ভিম কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে দেশি পুঁটি মাছ সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। কোনো ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ছাড়াই আমি শুঁটকি মাছ তৈরি করি। যে কারণে আমার শুঁটকির চাহিদা বর্তমানে জেলার গন্ডি পার হয়ে এখন দেশজুড়ে। শ্রমিকদের বেতন দিয়ে বছরে আমার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আয় থাকে।
সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটু মোল্যা বলেন, ভিম কুমার বিশ্বাসের শুঁটকি মাছ থেকে সফলতা পেয়েছেন। তার এই সফলতা আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকদের বিভিন্ন মাছের শুঁটকি তৈরিতে আগ্রহী করে তুলবে। ফলে, ক্ষুদ্র শুঁটকি ব্যবসায়ীরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার যুবসমাজ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ভিম কুমার বিশ্বাসের শুঁটকি ব্যবসার প্রসার ঘটাতে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সব প্রকার সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সব কিছু মিলিয়ে নড়াইল শস্য ও মৎস্য ভান্ডার নামে খ্যাত। এ অঞ্চলের ফসলাদি ও মৎস্য সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নতি লাভ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!