জসিম হোসেন ক্রাইম রিপোর্টার ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেও হাড়ডাঙ্গা বিদ্যাধরপুর গ্রামের বাবলু'র রহমান পিতা মতিয়ার রহমান এর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন মার থেকে রেহাই পেলেন না। ৪নং বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম নজু'র হাত থেকে।ভুক্তভোগী পরিবার জানান,গত ২৫ মার্চ বাড়িতে ইট মারা নিয়ে জানতে চাইলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে প্রতিবেশী বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু,তার ভাই ইয়ারুল ইসলাম,সাদ্দাম হোসেন পিতা মৃত লাল চাঁদ ও পাখি খাতুন স্বামী ইয়ারুল।চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে তার উপস্থিতিতে নিজ ভাইদের নির্দেশ দেয় ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন কে ধরতে।নির্দেশ প্রদানের সাথে সাথে ধরে কিল-ঘুষি লাথি মারতে শুরু করে।মারতে শুরু করলে ভুক্তভোগী তাসলিমার শ্বাশুড়ি চায়না বেগম রাস্তায় ছুটে এসে ঠেকাতে গেলে তাকেও পেটানোর জন্য চেয়ারম্যান নির্দেশ দেয় তার ভাইদের।এরপর স্হানীয়দের সহায়তায় জীবন রক্ষা পায়।পরবর্তীতে ঐদিন প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের ভয়ে পরিবারের জীবন রক্ষা পেতে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে চেয়ারম্যান কে ১ নং বিবাদী করে মোট ৪ জনের নামে।গত(২৮শে মার্চ) মডেল থানা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে বিদ্যাধরপুর গ্রামে যায় পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ চলে যায়।এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করার কারণে চেয়ারম্যান আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে বলে এতো সাহস কনে পেয়েছে অভিযোগ করার। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে ভাইদের হুকুম দেয় তাসলিমা কৈ ওর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে পেটা ওর কোন বাপ আছে আমার হাত থেকে বাঁচায়।চেয়ারম্যানের নির্দেশ পেয়ে তার ভাই ও ভাইয়ের বউ তাসলিমা'কে ধরে নিয়ে কিল-ঘুষি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্হানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করে নেন।সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাসলিমা খাতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের (১৮) নম্বর বেডে চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন দেখা যায়।এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার শংকিত প্রভাবশালী চেয়ারম্যান তার ক্ষমতাবলে বিচারকে যেন প্রভাবিত না করতে পারে।সেই কারণে ন্যায় বিচার পেতে ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মডেল থানায় বৃহস্পতিবার পুনরায় জিডি দায়ের করেন। জিডি নম্বর ১৩৬০ জিডি ট্র্যাকিং নম্বর 9CQB8A তারিখ ২৮/৩/২৪
এই ঘটনার ব্যাপারে বলহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন যে তাসলিমাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে সমস্যা আছে। তাসলিমা আমাদের বেশ খানিক জমি দখল করে আছে আমি নিজেও সেই জমি ছেড়ে দিতে বলেছি কিন্তু সে এই জমি ছেয়ে না দিয়ে আমাদের পরিবারের লোকজনের সাথে বিভিন্নভাবে বকাবকি শুরু করে। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম যার ফলে আমাদের বাড়ির মেয়েছেলেও তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্তের এক পর্যায়ে জড়াজড়ি হয়। ঘটনা নিয়ে তাসলিমা থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে থানা থেকে একজন এসআই তদন্ত করতে আসলে জানতে পারে যে সে আবার কোর্টে মামলা করেছে। তখন এসআই বলে যে যেহেতু কোর্টে মামলা হয়েছে সেতুর কোট থেকে তদন্ত আসলে আবার তদন্ত হবে। এবং ওই এসআই আমার বাড়ির উপর আসেন। সে চলে গেলে তাসলিমা আবার আমাদের বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে যে দারোগাকে ঘুষ দিয়েছে যার কারনে দারোগা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই সময় আমাদের বাড়ির মেয়েছেলে ওখানে উপস্থিত ছিল। তাসলিমা নিজে তাদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে এবং পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ