স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়া খালী এলাকার মৃত আবুল খায়ের এর কন্যা ফাতেমা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত অলি আহমদের পুত্র মোঃ আইয়ুব এর সাথে গত সাত মাস পূর্বে স্ট্যাম্প মূলে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
মোঃ আইয়ুব বিবাহিত হওয়ায় তার প্রস্তাব প্রথমে কনে পক্ষ প্রত্যাক্ষাণ করেন।পরে মেয়েকে বিভিন্ন কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফাতেমাকে নিয়ে পালিয়ে যায় আইয়ুব।পরবর্তীতে ফাতেমার বড় বোন তাসলিমা টেকনাফ থানায় আইয়ুবের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করলে সে ফাতেমা কে সাথে নিয়ে থানায় হাজির হয়,এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে ফাতেমার সম্মতিক্রমে স্ট্যাম্প মূলে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়।
বিবাহের পর থেকে গত সাত মাস পর্যন্ত ফাতেমাকে তার বাবার বাড়ির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালান আইয়ুব ও তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম।তার এই নির্যাতনের কথা পার্শ্ববর্তী লোকজনদের মাধ্যমে জানা যায়।
ফাতেমার স্বামী মো আইয়ুব এর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফাতেমার বড় বোন তাসলিমা জানতে পারেন যে গত ৫ই মে ২০২৫ইং তারিখ তার বোন নিখোঁজ হন।এখবর পেয়ে আইয়ুবের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ফাতেমার বড় বোন তাসলিমা।
বিয়ের সাত মাস পর্যন্ত সংসারের আইয়ুব বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে ও তার স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের দিন রাত অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে ও সংসার করেন তার বোন। কিন্তু হঠাৎ নিখোঁজের খবর পেয়ে সংকিত ফাতেমার পরিবার। সে মনে করেন তার বোন কে হয়ত তারা গুম করে রেখেছে।
তার গুম হওয়া বোন কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান ফাতেমার বড় বোন তাসলিমা।
ফাতেমার স্বামী আইয়ুব জানান আমার স্ত্রী আমার বাসা থেকে গত ৫ই নভেম্বর ২৫ আমার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে যা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ফাতেমার পরিবারের পক্ষে তার বড় বোন তাসলিমা জানান সে আমার বোন কে গুম করে নিজ ও নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।
এবিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন এর মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।