1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
জয়পুরহাট জেলা বিখ্যাত হওয়ার পেছনের গল্প। - Bikal barta
৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ১১:২৫|
সংবাদ শিরোনামঃ
সিলেট বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান এমন জীবন তুমি করিবে গঠন: মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন। তাহসিনা রুশদীর লুনা  পুরোনো সড়কে নতুন কার্পেটিং! সাপোর্টিং ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না এলজিইডি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাদা পোশাকে পুলিশের হামলা ও নিরীহ মানুষের নামে মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন ধামইরহাটে ফসলের মাঠ থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১  আহত ২ স্বৈরাচার সরকার পতনের পতনের পর নরসিংদীতে জুলাই আন্দোলনে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ নীলফামারীতে টি.আর, কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে গ্রামগঞ্জে এখন পাকা রাস্তা সরকারের টনক না নড়লে এলজিইডি ভবন ঘেরাও করা হবে : মামুনুর রশীদ মামুন।  দিনাজপুরে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুই  দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে কর্মবিরতির কর্মসূচী পালিত

জয়পুরহাট জেলা বিখ্যাত হওয়ার পেছনের গল্প।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪,
  • 267 জন দেখেছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার:

জয়পুরহাট বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। এ জেলার আলু দেশের কোন মানুষ খাননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন।জয়পুরহাট ভারতের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি অঞ্চল।
জয়পুরহাটের ইতিহাস প্রায় কয়েকশো বছরের পুরনো। জয়পুরহাট বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলার পূর্বে অবস্থিত বগুড়া জেলা ও গাইবান্ধা,পশ্চিমে নওগাঁ ও ভারত সীমান্ত, দক্ষিনে বগুড়া জেলা এবং উত্তরায় গাইবান্ধা জেলা। ১৮২১ সালে রাজশাহী, রংপুর,দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি থানা মিলে বগুড়া জেলা গঠিত হয়েছিল। সেই সময় জয়পুরহাট ছিল বগুড়া জেলার একটি থানা।
১৮৫৭ সালে বাংলায় প্রচন্ড রকমের দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে জয়পুরহাটে বহু মানুষ মারা যায়। পরবর্তীতে ব্রিটিশ প্রিয়ডে জয়পুরহাটে একটি রেল স্টেশন গড়ে তোলা হয়। ধীরে ধীরে সেখানে বৃত্বশালী ব্যক্তিরা অবস্থান করতে শুরু করে এবং তাদের জনবসতি গড়ে তোলে ।
পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে জয়পুরহাটকে একটি মহকুমা উন্নীত করা হয়।
১৯৭১ সালে জয়পুরহাট ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর জয়পুরহাটে অবস্থিত হিলি অঞ্চল শত্রু মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সমগ্র জয়পুরহাট শত্রুমুক্ত হয়।
১৯৮৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ এর সময়কালে জয়পুরহাটকে একটি জেলায় উন্নীত করা হয়।
একটি জেলা মূলত বিখ্যাত হয়ে থাকে সে জেলায় জন্মগ্রহণকারী বিশেষ ব্যক্তিত্ব, খাবার ও দর্শনীয় স্থানের জন্য।
তবে নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে জয়পুরহাট মূল ত বিখ্যাত এখানে উৎপাদিত ফসলের জন্য। যেমন ধান, ডাল,আলু, ইক্ষু,কলা,লতিরাজ ইত্যাদি।
জয়পুরহাট বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে উত্তরে এবং ঢাকা থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে ২৫°৬′১২″ উত্তর ৮৯°১′১৫″ পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত। এর আয়তন ১৮.৫৫ বর্গকিলোমিটার।
জয়পুরহাটে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি:
১৯৭১ সালে ১৪ ই ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার চকবড়ত ইউনিয়নে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক একটি জঘন্য ও পৈশাচিক গণহত্যার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই গণহত্যায় যাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদেরকে সেই ইউনিয়নে অবস্থিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে গণকবর দেওয়া হয়, আনুমানিক ১২২ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে।
মূলত সেখানেই গড়ে উঠেছে পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি। প্রতিবছরের বধ্যভূমি দেখতে আসেন লাখো পর্যটক
লকমা রাজবাড়ী:
এটি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এ রাজবাড়ীটি মূলত একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা।
ধারণা করা হয় এক সময় লকমা রাজবংশের বসবাস ছিল এখানে। যদিও কালের বিবর্তনে এখন এটিই সম্পূর্ণটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সংস্কার করা হয়নি বিধায় জন্মেছে আগাছা।
হিন্দা কসবা শাহী জামে
মসজিদ: এটি বাংলাদেশের জয়পুরহাটে অবস্থিত সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ। তান্দনিক শিল্প কলায় সুসজ্জিত মসজিদটি শুধু একটি ধর্মালয় নয় বরং একটি পর্যটন কেন্দ্র। ধারণা করা হয়ে থাকে আজ থেকে আনুমানিক ৭৫০ বছর পূর্বে খলিফা আব্দুল খালেক চিশতীর তত্ত্বাবধায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল এই মসজিদটি।
মসজিদটির পাশেই মোট চারজন সুফি সাধকের মাজার রয়েছে। নান্দাইল দিঘি:
এটি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় অবস্থিত।
যদিও মৌর্য শাসন অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল তবে বাংলায় জয়পুরহাটে ১৬ শতকেও মৌর্য শাসন চলছিল। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এটি ছিল আইন বহির্ভূত শাসন। তবে সেখানকার রাজারা ছিলেন যথেষ্ট জনহিতোষী।
১৬১০ সালে এমনই একজন মৌর্য সম্রাট নন্দলাল অত্র এলাকার চাষীদের শুকনো মৌসুমের চাষাবাদের কথা চিন্তা করে একটু দিঘী খনন করেন যার নামকরণ করা হয় নন্দলাল দিঘী। তবে পরবর্তীতে অপভ্রংশ জনিত কারণে এটির নামকরণ করা হয় নান্দাইল দিঘী
জয়পুরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন সময় জরিপ থেকে দেখা যায় জয়পুরহাটে মোট মুক্তিযুদ্ধ সংখ্যা ৭৩৯ জন। জয়পুরহাটের বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে: কবি আতাউর রহমান:
একজন ভাষা সৈনিক ও বাংলা একাডেমী সাহিত্য
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি । তিনি ১৯২৭ সালে জয়পুরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন।
মশিউর রহমান:
তিনি ১৯২৪ সালে জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী এবং প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। মশিউর রহমান মাওলানা ভাষাণীর  অন্যতম একজন শীর্ষ ছিলেন এবং তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা অনেকটাই আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন। ১৯৭৬ সালের পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার একজন সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ।
খুরশিদ আলম:
খুরশিদ আলম বাংলাদেশের একজন প্লেব্যাক গায়ক। তার গানগুলোর
মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গানটি হল “চুমকি চলছে একা পথে”।
দিলরুবা খানম:
দিলরুবা খানমের পিতা সৈয়দ হামিদুর রহমান রংপুর বেতারের একজন জনপ্রিয় শিল্পী হলেও তিনি চাননি তার সন্তান শিল্পী হোক।
তবে সংস্কৃতি মনা পরিবার থেকে উঠে আসার কারণে পরবর্তীতে দিলরুবা দেশ বরেণ্য একজন শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে বর্তমানে জয়পুরহাট জেলাকে ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ জেলার মধ্যে ৫ টি উপজেলার ক্ষেতলাল, কালাই, ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার আংশিক অংশে ব্যাপক পরিমান আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে জয়পুরহাট জেলার মানুষ আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে, কল কারখানা , শিক্ষা, অর্থনৈতিক অবস্থা, চিকিৎসা খাত সহ সকল খাতে বাংলাদেশের মধ্যে একটা বড় পরিসরে জাইগা করে নিয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!