1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
চিরিরবন্দর মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুলের রক্তিম শোভা   - Bikal barta
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শুক্রবার| রাত ৩:২৭|
সংবাদ শিরোনামঃ
শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে- ষশ্রমিক দিবসে শহীদুল ইসলাম বাবুল  নরসিংদীতে পহেলা মে শ্রমিক দিবস উদযাপিত  জকিগঞ্জে আল্লামা আবদুল গফ্ফার (রহ.) ছাত্র সংসদের উদ্যোগে সাপ্তাহিক সভার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। পাইকগাছায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  চিরিরবন্দর যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত ভাঙ্গায়  ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার  তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রের  মৃত্যু  ওসমানীনগরে মহান মে দিবস পালিত :  শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে বক্তাদের আহ্বান। ভাঙ্গায় শালিসের সময়ে হামলা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা! ভাঙ্গায় একটি বহুতল ভবনের ৫ পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু  কাউনিয়ায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত। 

চিরিরবন্দর মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুলের রক্তিম শোভা  

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫,
  • 25 জন দেখেছেন

 

মোঃ আসলাম আলী আঙ্গুর ( দিনাজপুর ) থেকে :-

চিরিরবন্দর প্রকৃতি এখন মৌমাছির গুঞ্জন আর পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানের সাথে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। একদিকে গাছে গাছে পাতা ঝরার শব্দ অন্যদিকে জেগে উঠছে নতুন সবুজ পাতা। আম্রমুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে বসন্ত। ঋতু পরিক্রমায় বছর ঘুরে বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি তার নানা পরিবর্তন পেরিয়ে আবার সেজেছে শিমুল ফুলের লাল রঙে,এ যেন প্রকৃতিতে আগুন লেগেছে। শীতের রিক্ততা কাটিয়ে ফাগুনের আগুনে প্রকৃতিতে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। ফুলে ফুলে সজ্জিত প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। পাতা ঝরা বৃক্ষগুলির মাথায় দেখা দিয়েছে সবুজ পাতা, কলি ও ফুল। বসন্তের আগমনে শিমুল গাছে ফাগুনের ছোয়ায় চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের ফুল শোভা পাচ্ছে। চিরিরবন্দর রাস্তার ধারে, বাড়ির কোণে, পতিত ভিটায় ঠায় দাড়িয়ে থাকা শিমুল গাছগুলি নতুন কুড়ি ও রঙিন ফুলে ভরেগেছে। প্রকৃতি যেন অনাবিল আনন্দ ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে। গাছে গাছে রঙিন ফুল প্রকৃতিকে করেছে সৌন্দর্যমন্ডিত।

এক সময় এ উপজেলায় প্রচুর পরিমানে শিমুল গাছ ছিল। বসন্ত এলে গাছে গাছে লাল রঙের ফুলে ভরে যেত। ফুলে ফুলে প্রকৃতি সাজতো অপরূপ রূপে। শিমুল ফুল ফুটেই জানান দিতো বসন্তের আগমনি বার্তা। কালের বিবর্তনে উপজেলায় কমেছে কমেছে শিমুল গাছ। তারপরও গ্রামঞ্চলের শিমুল গাছগুলো এখন সেজেছে বাহারি রঙের ফুলে। মাঘ মাসের শেষে ফালগুনের শুরুতে ফুল ফুটে চৈত্র মাসের শেষের দিকে পুষ্ট হয় এ গাছের ফল। বৈশাখে মাসের দিকে ফলগুলো পেকে গিয়ে আপনা আপনিই ফল ফেটে তুলা ও বীজ বাতাশের সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকে গাছের জন্ম হয়। আবার অনেকে নিজে থেকেই গাছ রোপন করে থাকে।

প্রাকৃতিকভাবেই শিমুল গাছ বেড়ে উঠছে। শিমুল গাছ শুধু ফুল দিয়ে পরিবেশের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এই গাছে রয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভেষজ গুনাগুন। এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন রোগিদের। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্স সাইবালিন। শিমুল তুলা আরামদায়ক বেডিং শিল্পে ঐতিয্যবাহি কাঁচামাল। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। শিমুল তুলা ও গাছ মানব জীবনে নানা উপকারিতা এবং অর্থনৈতিকভাবে ও বেশ গুরুত্ব বহন করছে।

কয়েক দশক আগেও রাস্তার ধারে, বাড়ির কোণে, পতিত ভিটায় প্রচুর পরিমানে শিমুল গাছ ছিল। ফাল্গুন মাস এলে গাছে গাছে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের ফুল শোভা পেত। কিন্তু অবাধে গাছপালা নিধন করার সময় বিভিন্ন গাছপালার সঙ্গে শিমুল গাছও কমে গেছে। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঠায় দায়িয়ে থাকা গাছ গুলোতে ফুল ফুটে প্রকৃতিকে সাজিয়েছে নতুন রূপে জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনি বার্তা।

আরামদায়ক হওয়ার কারণে শিমুলের তুলার চাহিদার সাথে দামও অনেক বেড়ে গেছে। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ৮/১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। শিমুল গাছ ফুল দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এর রয়েছে ঔষধি গুন। এছাড়াও গাছ বিক্রি করে এককালীন আয় করা সম্বব। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ কমে গেছে শিছুল গাছ।

লেপ তোষক তৈরিকারক ও বিক্রেতা এক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে শিমুল তুলা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুচিশীল মানুষ লেপ-তোষক ও বালিশে শিমুল তুলাই ব্যাবহার করেন।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি শিমুল গাছ বিভিন্নভাবে আমাদের আর্থিক চাহিদার যোগান দিয়ে থাকে। প্রকৃতি ও ঋতু বৈচিত্রের বাহক শিমুল গাছ রোপনে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!