কুতুবদিয়া প্রতিনিধি,
এম হোছাইন আলী:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভুয়া মালিক সেজে পরের জমি রেজিস্ট্রি দিতে যাওয়ার দায়ে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১-জানুয়ারী) দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন ভুয়া দাতা মো. শামসুল আলম ও ক্রেতা জাফর আলম। এ সময় দীর্ঘ শুনানি শেষে ক্রেতার জামিন মঞ্জুর করিলেও ওই ভুয়া দাতার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন কুতুবদিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী।
মামলার বাদীর পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ রাসেল সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এ ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে প্রকৃত জমির মালিকের ওয়ারিশ আতিকুল ইসলাম ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে কুতুবদিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহার সূত্রে ভুয়া দাতা ও ক্রেতাকে আদালতে সোপর্দ করেন থানা পুলিশ।যাহার মামলা নং জি,আর ০৭/২৪ ইং
এজাহার ভূক্ত আসামীরা হলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের আনু বাপের পাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. সোহেল, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলার দ্বীপ এলাকার মৃত আজু মিয়ার ছেলে মো. শামসুল আলম (৬৫) ও কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের নয়াঘোনা এলাকার মৃত ছালা উদ্দিনের ছেলে জাফর আলম (৫৭)।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ২ নং আসামী মোঃশামসুল আলম প্রতারণা মূলকভাবে প্রকৃত মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ পূর্বক ব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ১ ও ৩ নং আসামীর প্ররোচনায় লেমশীখালী মৌজার বিএস ১৮২, আরএস ৪৯৬ ও এমআর ৫৫৬ নং খতিয়ানের ০.৫৭৯০ একর জমি মামলার ৩ নং আসামী জাফর আলমকে বিক্রির উদ্দেশ্যে (মঙ্গলবার) ৩০ জানুয়ারী কুতুবদিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন ওই প্রতারকগন।
পরবর্তীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসারের নির্দেশে যাবতীয় কাগজপত্র ও প্রকৃত জমির মালিক আমির হামজার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেন। অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও অভিযুক্ত ২নং আসামি মোঃশামসুল আলমের চেহারার সাথে জমাকৃত পরিচয়পত্রের কোনো মিল না থাকায় সাব-রেজিস্ট্রি কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে আসল পরিচয়সহ মামলায় অভিযুক্ত ১ নং আসামি মো. সোহেল তাহাকে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে ভুয়া আমির হামজা পরিচয়ে রেজিস্ট্রি দেয়ার জন্য নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ভূমি প্রতারণা অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণাদির ভিত্তিতে ভুয়া দাতা ও ক্রেতাকে পুলিশে দেন কুতুবদিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার। তবে এ ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভুয়া দাতা সেজে পরের জমি রেজিস্ট্রি দেয়ার সময় ওই প্রতারকসহ জমির ক্রেতা জাফর আলমকে আটক পূর্বক পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন কুতুবদিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা শাহেদ হোসেন চৌধূরী।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ