1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
কালীগঞ্জে খেজুর গাছের মিষ্টি রস সংগ্রহে ব‍্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা। - Bikal barta
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| ভোর ৫:৩১|

কালীগঞ্জে খেজুর গাছের মিষ্টি রস সংগ্রহে ব‍্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০২৪,
  • 106 জন দেখেছেন

 

মো:মাহাবুবুর রহমান।

কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)থেকে।

খেজুর গাছের মিষ্টি রস সংগ্রহে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের গাছিরা এখন মহা ব্যস্ত।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই খেজুর গাছ তোলার মহা উৎসব শুরু হয়েছে।

আসছে পুরো শীত মৌসুম। মৌসুমে সৃষ্টি হবে এক নতুন আমেজ।

তাই খেজুর গাছ থেকে সুমিষ্টি রস সংগ্রহের জন্য গাছ তোলা, চাঁচ দেওয়াসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কালীগঞ্জের গাছিরা।

 

ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছ অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গাছ তোলা, চাঁচ দেওয়া ও গাছ কাটতে হয়।

কোমরে মোটা রশি বেধে গাছে ঝুলে ঝুঁকি নিয়ে তাদের এ কাজ করতে হয়। পেশাদার গাছীদের তেমন কোন সমস্যা হয় না বলে জানিয়েছে গাছিরা। ভাদ্র-আশ্বিনের শুরুতে গাছ তোলা ও পরিচর্যা করার সঠিক সময়। তবে এবার ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বৃষ্টি হওয়াই এবার খেজুর গাছ তোলা দেরিতে শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা খেজুরের রস, গুড় ও পাটালির জন্য খ্যাতি ছিল। ঝিনাইদহের খেজুরের গুড়, পাটালি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে সরবরাহ হতো। দেশের বাইরে ও এর কদর রয়েছে। বর্তমানে খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগের মতো এখন আর মাঠ জুড়ে খেজুর গাছ দেখা যায় না। ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠে এবং রাস্তার দু’ ধার দিয়ে ও মেঠো পথের পাশে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। কিছু দিনের মধ্যেই প্রতিটি ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা, পুলি, পায়েস তৈরির ধুম পড়বে। মিষ্টি গুড় অত্যন্ত উপকারী ইতি মধ্যে লোকজন গাছ কাটা গাছিদের সাথে যোগাযোগ শেষ করেছে। ভাল গুড়, পাটালীর আশায় অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়েছে গাছিদের। এ সব গাছিরা অগ্রিম টাকা নিয়ে দা, দড়ি, ঠুঙ্গি সহ গাছ কাটার বিভিন্ন উপকরণ তৈরির কাজ ইতি মধ্যে শেষ করেছে। শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা গাছ তোলা, চাঁচা, দা তৈরি, ঠুঙ্গি, দড়ি ও মাটির কলস (ভাঁড়) কেনার কাজ সেরে নিচ্ছে।

 

মধুপুর গ্রামের গাছি আলম জানান, এ বছর খেজুর গাছ তোলা শুরু করেছেন। রস,গুড় ও পাটালী তৈরি করে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন। কালুখালী গ্রামের গাছি রমজান আলী জানান, খেজুর গাছ অনেক কমে গেছে। রস ও কম হবে । এ ছাড়া রস জ্বালাতে যে পরিমাণ জ্বালানী প্রয়োজন তাও পাওয়া যায় না। তবে যে খেজুর গাছ আছে তা দিয়েই এ পেশা ধরে রেখেছি। এ বার আমি ৫৫ টি গাছ কাটার জন্য ইতি মধ্যে গাছ তোলা ও চাঁচ দেওয়া শুরু করেছি।

 

কালীগঞ্জ উপজেলার পারশ্রীরামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, সে এ বছর ৮০টি খেজুর গাছ কাটার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তিনি জানান, রস জ্বালাতে আগের মত জ্বালানী পাওয়া যায় না বলে রস জ্বালাতে বেশ কষ্ট করতে হয়। তাদের জানা মতে কালীগঞ্জের গুড় ঢাকা, চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ভাবে খেজুর গাছের বাগান গড়ে তুললে রস,গুড় ও পাটালীর চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে। ফিরে আসবে এলাকার অতীত গৌরব। সম্ভাবনাময় এ অর্থনৈতিক খাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আর জন সচেতনতা গড়ে তুলতে এলাকাবাসী জোর দাবী জানান।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মো:আক্তারুজ্জামান মিয়া (বিসিএস কৃষি) জানান উপজেলার গাছিদেরকে খেজুরের চারা রোপনে উদ্বুদ্ধ করনের লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!