মোঃ শাহেদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের কটেজগুলো ‘পাপের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে। এসব এলাকা মুলত পতিতাদের দখলে চলে গেছে। সাইনবোর্ডধারী হোটেল এর আড়ালে এখানে চলে মাদকবাণিজ্য। ‘ওপেন সিক্রেট’ চলছে ইয়াবা ও পতিতার হাট। সকাল-সন্ধ্যা কটেজ জোনের বিভিন্ন সড়কে বিচরণ অপরাধীদের। বিশেষভাবে ফোন করে আসিফ নামের এক দালাল এবং তাকে সহায়তা করেন মোঃ লোকমান। মোঃ শাহিন এর মাধ্যমে কটেজে প্রবেশ করে এসব অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিশেষ করে রাত ৮ টার পর থেকে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। যেন শহরের কটেজ জোন একটি পতিতালয়। এসব কাজে সরাসরি জড়িত রয়েছে অনেক হোটেল মালিক মোঃআসিফ, মোঃ লোকমান এবং মোঃ শাহিন । তাছাড়া পতিতা-খদ্দের খোঁজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিশোর গ্যাং সদস্যদের। কমিশন ভিত্তিতে পতিতা ও মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে কিছু রিক্সা ও সিএনজি চালক। নিরাপদ এলাকা হিসাবে মাঝারী থেকে বড় মাপের ব্যক্তিরাও কটেজ জোনে গিয়ে তাদের আকাম-কুকাম সারছে প্রতিনিয়ত। তবে এদের কোন ভয় নেই। কক্সবাজারের এস পি সার্কেল ! অভিজান চালায় ১০/০৬/২০২৪ ইংরেজি সোমবার রাত ১০ টার দিকে অভিজানের খবরটি আগে জানতে পারাতেই পতিতা ব্যাবসায়ীরা সব পতিতা আগে সরিয়ে পেলেন তাই পুলিশ আসার পরেই কাউকে না পেয়ে চলে জান। সব মিলিয়ে পর্যটন নগরীরর কটেজ জোন অপরাধ ও অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের দাবী, এক সময় দিনের বেলায় হলেও এখন দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলছে কটেজ জোনের অপকর্ম। হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন দামের পতিতা ও নেশাজাতদ্রব্য। এসব কাজে জড়িত রয়েছে স্থানীয় কিছু বড় মাপের লোক । প্রতিদিন অপরাধ করেও রহস্যজনক কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। কটেজগুলোর নিয়ন্ত্রক সংগঠক থাকলেও অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তারা। এ কারণে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরীর কটেজ জোন ‘পাপের স্বর্গ রাজ্য’-তে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, এই কটেজ জোনের বেশি বাঘ ব্যবসায়ী এখন পর্যটন ব্যবসা ছেড়ে পতিতার ব্যবসার দিকে ঝুকে বেড়েছে । প্রতিরাত বিরাতে পতিতার ঢল নামে এখানে। পতিতা ব্যবসাকে দেহ শিল্পে রুপ দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী মোঃ আসিফ. মোঃলোকমান.মোঃ শাহিন সহ আরো অন্য অন্যরা । তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত। সিএনজি-রিক্সা চালকদের সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে চলে এ ব্যবসা। তবে এবার নতুন করে পর্যটন মৌসুমে টার্গেটে নেমেছে অসাধু কটেজ মালিক ও কর্মচারী। তাদের টার্গেট রোহিঙ্গা পতিতা সংগ্রহ করে কটেজ ও হোটেল পরিচালনা করা। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসায়ী জড়িত বেশ কয়েকটি কটেজের নাম। যারা কৌশলে চালাচ্ছে এসব অপকর্ম।সরেজমিন গিয়ে পর্যটক সেজে কথা হয় কটেজ জোনের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর সাথে। পর্যটক পরিচয় দেয়ায় এগিয়ে আসে এক কর্মচারী। দেখা মিলে দরজার ভেতরে পতিতা। বাইরে চেয়ার নিয়ে বসে আসে কর্মচারী। গেইটে যাওয়া মাত্রই বলেন-প্রতিটা রুমে রয়েছে পতিতা। আপনাদের যেটা পছন্দ সেটা নিতে পারবেন। এরআগে টাকা এবং কথা পাইনাল করে যেতে হবে কিন্তু। এভাবেই চলছে পতিতা এবং খুচরা মাদক নিয়ে।
এছাড়া হোটেল মোটেল জোনে ও কটেজে রোহিঙ্গা পতিতার আনাগোনা বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান-কটেজ জোন এখন পতিতার জোন বললে চলে। পাপের ঘাটি হিসেবে এখন একটাই পরিচয় কটেজ জোনে। জানা গেছে-সবচেয়ে বেশি হারে পতিতা ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে কটেজ জোনে। এই কটেজ এর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় অসাধু কর্মকর্তা ও দালালদের তত্ত্বাবধানে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। পতিতাদেরকে মাসিক এবং দৈনিক ভাড়ার মাধ্যমে রুমে স্টক রেখে গণহারে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
সুত্র জানায়, এসব কটেজে প্রতিদিনই রোহিঙ্গা, , এনে দেহ ব্যবসায় সম্পৃক্ত করা হয়। রেজিস্ট্রার খাতায় বোর্ডারের নাম-ঠিকানা লিখার নিয়ম থাকলেও তা মানেনা কেউ। বেপরোয়া ভাড়া বানিজ্য চলে কটেজগুলোতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যে আরো উঠে আসে অপরাধে সংশ্লিষ্ট অনেকের নাম। কলাতলীর পুরো কটেজ জোনে এদের নেতৃত্বে গড়ে উঠে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট শুধুমাত্র পতিতা ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। মাদকদ্রব্য, চোরাচালান, ইয়াবা সেবন নানা অপকর্ম তারা নিয়ন্ত্রণ করে। পর্যটক ছিনতাইয়ের সাথেও এরা জড়িত। তাদের সাথে জড়িত রয়েছে কিছু টোকাই শ্রেনীর লোকজনও। তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিচ্ছন্ন অনেক কটেজ ব্যবসায়ী।স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কটেজ জোনে মূলত দালাল মোঃ আসিফ-মোঃলোকমান -মোঃশাহিন সহ আরো অনেকেই তাদের হাত ধরে অনেকেই পতিতা জগতে পা রেখেছে। সংসার। নষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতির জীবন। পতিতাবৃত্তির কষাঘাতে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক মেয়ে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জনাব মোঃ মিজানুর রহমান (বিপিএম ) ,বলেন কটেজ জোনে অপরাধের বিষয়ে কিছু অভিযোগ আসলেই আমারা অভিযান চালায় আজকে অভিযানে গেলেই কাউকে খুজে পাইনি আমাদের যাওয়ার খবরটা তারা টের পেয়ে পতিতাকে সরিয়ে পেলেন । আগে অনেক বার ধরা পড়েছে অনেক পতিতা। সাজাও হয়েছে তাদের। শীঘ্রই অভিযুক্ত কটেজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত তাকবে । কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ