১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার
মোঃ মশিউর রহমান
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলাধীন মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ের স্পার বাঁধ অংশে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী মোঃ নাদিরুল ইসলাম মানিক, সহকারী অধ্যাপক, নামুড়ী কলেজ ও যুগ্ম আহ্বায়ক, আদিতমারী উপজেলা বিএনপি বলেন – তিস্তা নদী তিস্তা পারের মানুষের জীবনের সঙ্গে যেন গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের শৈশব, কৈশোর, যৌবন – সবই তিস্তার ঢেউ, তিস্তার চর আর ভাঙ্গনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে। বছরের বেশি ভাগ সময় আমরা দেখি তিস্তার চর, যখন নদীটি পরিনত হয় এক সংকীর্ণ নালায় এবং চারপাশে তৈরি হয় মরুভূমির মতো শুকনো চরের বিস্তৃতি। তবে বাকি সময়টি আমরা আতঙ্কে থাকি, তিস্তার ভাঙ্গন যে কখন আমাদের ঘরবাড়ি, ফসল আর জীবনকে গ্রাস করবে। বাংলাদেশ অংশে তিস্তা একটি খরস্রোতা নদীর পানিসংকট এবং ভাঙ্গনের প্রকোপে খুব কম সময়েই তিস্তা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। নদীটি বছরের একটি সময়ে তীব্র স্রোতে ভেসে যায়, আর অন্য সময়ে শীর্ণ ধারায় রুপান্তরিত হয়। তাই তিস্তা পারের মানুষের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা কেবল একটি উন্নয়ন নয়, এটি আমাদের টিকে থাকার লড়াইয়ের এক প্রতীক। তিস্তার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং এর দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ গুলোর কারণে এই মহাপরিকল্পনা আজ প্রজন্মের পর প্রজন্মের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ২০২৪- এর জুলাই বিপ্লবের পর যে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে, সেখানে এই উত্তর জনপদের মানুষ আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিবিজড়িত উত্তরাঞ্চলের মানুষ আমরা তিস্তা নদীকে একটি আশীর্বাদ হিসেবে দেখতে চাই।