সিলেট অফিস::

সিলেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধী আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে জিয়াসহ ক্ষমতাসীনরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হত্যা জেল জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন বলে আজ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দল এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি আজ বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের নেত্রী হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ গর্বিত।

রোববার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সৈয়দ শামীম আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সুদীপ দে।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যে দলের ভিত্তি দিয়েছেন, সেই দলকে এখনো বহন করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরস‚রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একাধিকবার ঘাতকের বুলেট-বোমার সামনে নিজের জীবনকে বিপন্ন করতে হয়েছে, তবুও দলের রক্ষাকবচ হয়ে থেকেছেন তিনি। একারণেই বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আবেগের নাম।

আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, এড. শাহ মোঃ মোসাহিদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: মবশ্বির আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো: নিজাম উদ্দিন আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, আবদাল মিয়া, এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এড. নুরে আলম সিরাজী, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মোঃ জাকির হোসেন, এড. আফসর আহমদ, এড. ফখরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লেবু , জাহাঙ্গীর আলম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এড. খোকন কুমার দত্ত, মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকীম দিনা আক্তার, মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ।

সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, গীতা পাঠ করেন চন্দন দাস। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবধি যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবময় অর্জন ও সফলতা তাঁদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভার প‚র্বে সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আলোচনা সভা শেষে বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজার মসজিদে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া এবং গরীব, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি