1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় তিন শীর্ষ জুয়ারী কাশেম-নজরুল-বাচন বেপরোয়া হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী - Bikal barta
৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ১০:১১|
সংবাদ শিরোনামঃ
বীরগঞ্জে আহত লিমনের পাশে উপজেলা সমবায়ী এসোসিয়েশন  পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব শ্রমিক দিবস পালন কাউনিয়ায় অষ্টম বার্থডে ওপেন ব্রীজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত  কুমারখালীতে যুবলীগ নোতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করলো ছাত্রদল কুড়িগ্রামে নতুন নেতৃত্ব পেল জেলা এনসিটিএফ  নীলফামারী রিপোর্টার্স ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল খানসামা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  বাগেরহাটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ১ জিলক্বদ মাসের ফজিলত ও ইবাদত। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিমের ‘গুড সার্ভিস’ ব্যাজ অর্জন!

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় তিন শীর্ষ জুয়ারী কাশেম-নজরুল-বাচন বেপরোয়া হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪,
  • 101 জন দেখেছেন

*জুয়ার আসর বার বার বসে!

*প্রশাসনের নীরবতা ভূমিকা!

*জুয়ার জন্য পরিবার গুলি ধ্বংস হচ্ছে!

*পরিবারগুলোকে বাড়ছে অশান্তি!

*জুয়ার আসর বসানোর কথা প্রশাসন অবগত থাকেন!

 

*পুলিশের প্রতি ভালোবাসা, জনগণের কাছ থেকে ফিরে নিয়ে আসতে হবে!

 

সিলেট থেকে বিকাল বার্তা প্রতিবেদক >> মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র অভিযানে বিগত বছরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও উত্তর সুরমার সকল জুয়ার আস্তানায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে খেলার সামগ্রীসহ জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে একদিকে জুয়ারীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয় অন্যদিকে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা বন্ধ করে দিয়েছিলো। ফলে জুয়ারীরা প্রতারণা করতে সাহস হারিয়ে তাদের অবৈধ জুয়া গুটিয়ে নেয়।

 

কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিবর্তীত পরিস্থিতির কারণে পুলিশের কর্মতৎপরতা না থাকায় আবারও সিলেটের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে জুয়ার জমজমাট প্রতারণা। ফলে চিহ্নিত বিভিন্ন জুয়ার আস্তানা গুলোতে এখন জুয়ার মহোৎসব চলছে। এসব জুয়ায় নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষ টুকাই থেকে শুরু করে ছাত্র, যুবসমাজ, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, সিএনজি চালক,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বাসার কাজের ভুয়াও অতি লোভে বেশী টাকা পাওয়ার আশায় তাদের সারা দিনের আয় জুয়া খেলে প্রতারিত হচ্ছে। ফলে একদিকে সাধারণ মানুষ বাড়ীতে ফিরছে খালি হাতে, অন্যদিকে পরিবারে চলছে ঝগড়া বিবাদ ও মানসিক অশান্তি। পরিবারের শান্তি ফিরিয়ে আনতে জুয়ায় প্রতারিতরা জড়িয়ে পরছে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। এখই যদি সম্মিলিতভাবে এসব জুয়া বন্ধ করা না যায় তাহলে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আর যেখানে জুয়া চলে সেখানে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপতো রয়েছেই। স্থানীয়রা এসব জুয়ার প্রতারণা, মাদক ব্যবসা বন্ধে থৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র তৎপরতা বাড়াতে মহানগর পুলিশ কমিশনারে দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

 

 

সিলেট মহানগর এলাকার এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার আওতাধীন ২৬নং ওয়ার্ডের জিঞ্জিরশাহ মাজারের কাছে আবুল কাশেমের জুয়ার বোর্ড, সুরমা মহল অপরাধ আস্তানা নামে সবার কাছে পরিচিত। এই আস্তানায় জুয়ার প্রতারণা ছাড়াও মদ,গাজা,ইয়াবা ও উঠতি বয়সী নারীদিয়ে চলে পতিতা ব্যবসা। এই আস্তানায় কয়েকবার পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র উপর হামলা হয়েছে।

 

চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে একটি বোর্ড সেটা পরিচালনা করছে আরেক চিহ্নিত শীর্ষ জুয়ারী নজরুল। সে নতুন রেলস্টেশনের প্রবেশ মূখে আরেকটি বিশাল জুয়ার বোর্ড চালায়। ২০২৩ সালে সেই জুয়ার বোর্ডের জুয়ারীরা প্রশাসনের লোকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

কদমতলী পুলিশ ফাড়ির ১০০ গজ সীমানার মধ্যে বালুর মাট এলাকায় বাচনের বোর্ডে চলছে রমরমা জুয়ার প্রতারণা। শুধু তাইনা বালুর মাঠ চিহ্নিত এক অপরাধ আস্তানা, এখানে পতিতাবৃত্তি, গাজা, ইয়াবা ব্যবসা চলে দেদারসে।

 

এই কলোনীতে তৃতীয় লিংঙ্গের নাগরিক হিজরা হিসেবে যাদের পরিচয় তাদের বড় একটি অংশ বসবাস করে। তারাও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।

 

শীর্ষ এই তিনটি জুয়ার বোর্ডের উত্তর দিকে স্কীনব্রিজ পার হলেই কোতোয়ালি মডেল থানা, রেলওয়ে স্টেশনের ভিতরে জিআরপি থানা, পূর্বদিকে কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি, এই এিসীমানার মধ্যেই চলে জুয়ার জমজমাট প্রতারণা। এছাড়াও আরো অন্তত ১০/১৫ টি ছোট ছোট জুয়ার আস্তানা রয়েছে এক কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে।

 

জুয়ার বিষয়ে জানতে জুয়াড়ীদের সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন পুলিশ, ডিবি ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই চলে ব্যবসা।

 

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা পুলিশের ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র নীরবতার সুযোগে জুয়াড়ীরা তাদের অবৈধ অপতৎপরতা চালিয়ে যাবার সাহস পাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু সচেতন মহল মনে করেন এসব অপকর্ম বন্ধে জুয়ার বোর্ড ও জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ –যৌথবাহিনীর সাঁড়াশী অভিযান জরুরী।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!