প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তরত নার্সের বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং কাঙ্খিত সেবা না দেয়ার অভিযোগ এক ভুক্তভোগি নারীর। ৫৮ বছর বয়সি মাকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন এমন অভিযোগ করেন।
গতকাল পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৪ মার্চ গভীর রাতে হঠাৎ বাড়িতে বসে তার মা রোকেয়া বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য পরে পরেন। তাৎক্ষনিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগে কাউকে পাওয়া যায়নি। দুই ঘন্টা পর একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর দেখা পেলেও তিনিও অসৌজ্যমুলক আচরণ করতে থাকেন। পরে জরুরী বিভাগের গেট খুলে দিলে সেখানেও কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। কয়েক ঘন্টা পর কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে ভর্তি দিলে মহিলা ওয়ার্ডে যেতেই কর্তব্যরত নার্স আমার ও মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করে বলেন, সেল্যাইন পুষ করার জন্য সরঞ্জামাাদি কিনে আনতে বলে। এতো রাতে দোকান খোলা নেই কোথায় পাবো এমন কথা বলায়ও আরও ক্ষিপ্ত হয় নার্স।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে বাজারে এসেও কোন দোকান খোলা না পেয়ে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের দ্বারা মাকে চিকিৎসা করানো হয়। এখন পর্যন্ত মা রোকেয়া সুস্থ্য হয়ে ওঠেনি। এর চেয়েও জটিল রোগি আসলে হয়তো তাদের আচরণের কারণে মৃত্যূও হতে পারে। বর্তমান সরকারের কাছে বিচার চাই।
উল্লেখ্য ভুক্তভোগী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ২৭ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও ডাক্তার আছেন মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ডেন্টাল ডাক্তার, একজন আরএমও আর একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তাদের মধ্য থেকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার অমিত কুমার সরকার আছেন ট্রেনিং এ।
এমত অবস্থায় দুজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
যেখানে একেকজন মেডিকেল অফিসার একাধারে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা ডিউটি করেন।
এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডা.মাহাবুব হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আমি অগবত নয়, তবে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।