নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে ব্যাপকহারে চুরি বেড়েছে । চোরেরা গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ লক্ষাধীক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। বাজারে ৪জন পাহাড়াদার থাকার পরও ব্যাপক হারে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দায়িত্ব পালনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
। পুলিশ ও বাজার কমিটির নেতৃব্ন্দ চুরি বন্ধ করতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা। চুরি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একদল চোর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইনাতগঞ্জ পশ্চিম বাজারের সুমন ভ্যারাইটিজ দোকানে তালা ভেঙে দোকানে ডুকে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।
এর ঠিক দুইদিন পর বাজারের ব্যবসায়ী শামসুজ্জামানের দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। এর আগে ও বাজারে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটলেও নিয়োজিত পাহাড়াদারের কোন জবাবদিহিতা নেই।
কারন হিসেবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ইনাতগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলবারের আপন চাচাতো ভাই বাবলু মিয়াসহ বাজারে আপন ৪ জন পাহাড়াদার রয়েছেন। সভাপতির ভাই পাহাড়াদার থাকার কারনে বাজারে কেন চুরির ঘটনা ঘটছে এমনটি জিজ্ঞেস করার সাহস কারো নাই। বাজারের সভাপতি দিলবারের ভয়ে ব্যবসায়ীরা চুপ থাকেন মামলা হামলার ভয়ে। পাহাড়াদার বাবলুসহ সবাইকে যদি আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাধ করা হয় সংঘটিত হওয়া চুরির ঘটনা উদঘাটনসহ বাজারে চুরি বন্ধ হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
তাছাড়া,ইনাতগঞ্জ বাজার কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলবারের বাড়ি বাজারে পার্শ্ববর্তী গ্রামে হওয়ার কারনে তিনি সারা রাত বাজারে ক্ষমতার দাপটে বাজারে ঘুরে বেড়ান। তিনি সারা রাত বাজারে বিচরণ করার পরও কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটে এটা প্রশ্নবিদ্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,ইনাতগঞ্জ বাজার কমিটির মেয়াদ গত প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সভাপতি দিলবার ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নোমান হোসেন বাজারের নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা মন থেকে বাজারের নির্বাচন চাইলে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাননা।
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইজাজুর রহমানের বর্তমানে বাজারে ব্যাবসা কোন বানিজ্য নেই। নতুন ব্যাবসা চুরাই কৃত মোটর সাইকেল সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে এখান থেকে অন্য খানে বিক্রি করছে।
ইনাতগঞ্জ বাজারের সিসি ক্যামেরা থাকার পর ও কেন চুর কে সনাক্ত করতে পারছে না প্রশাসন।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন,বাজার কমিটির নির্বাচন হলে গনতান্ত্রিক অবস্থায় নতুন নেতৃত্ব আসলে বাজারে চুরি বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এ ব্যাপারে তারা নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনাসহ চুরি বন্ধে প্রশাসনের টহল ব্যবস্থা জোরদারের দাবি করেন।
উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন,বাজারের ব্যবসায়ীদের কল্যানে কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবো।