1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ছাত্রীদের মারধর করায় বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করলেন প্রধান শিক্ষক - Bikal barta
১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বুধবার| সকাল ১১:০৬|
সংবাদ শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলে এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা। সিলেটে ডেভিল হান্ট অভিযানে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পান্না গ্রেফতার নিয়ামতপুরে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা  টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় হারানো বিজ্ঞপ্তি। মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি ও হোপ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যেগে হোপ হসপিটাল উদ্বোধন মাদরাসাতুস সুফফাহ আল ইসলামিয়া ভাদুঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবক শিক্ষা প্রদর্শনী ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে কাউনিয়া তিস্তা রেল সেতু এলাকায় মশাল প্রজ্জ্বল দেশ বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই : সৈয়দপুরে এমরান সালেহ প্রিন্স ।

ছাত্রীদের মারধর করায় বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করলেন প্রধান শিক্ষক

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫,
  • 77 জন দেখেছেন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার নৃত্যপর্বে পূর্ব প্রস্তুতি চলাকালে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন ৭জন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। এসময় ঐ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ অন্য শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকে হেনস্থা করে স্কুলের লাইব্রেরী কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

বিগত ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামীলীগের টানা ১৫ বছর একই বিদ্যালয়ে কর্মরত নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনকে অবরুদ্ধ করার খবরে স্কুল কম্পাউন্ডে ছুটে আসে আশপাশের স্থানীয় জনতা এবং ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকরা। তারা সকলে সেখানে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে শ্লোগান ও বিক্ষোভ করতে থাকে।

এঅবস্থায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামসহ সদর থানা পুলিশের একটি দল বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী কক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে প্রধান শিক্ষককে বহনকারী গাড়ি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা আটকে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির মধ্যে বসেই পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। এর পরেই সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনরতরা।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে আহত ৭শিক্ষার্থী ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তাদের মধ্যে ৪জনকে ভর্তি রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে আহত প্রধান শিক্ষককে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেল ৫টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাবেক সেনা সদস্য মো. সাব্বির হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির ম্যনেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রুপিং চলছিলো। প্রধান শিক্ষক একটি গ্রুপের মদদদাতা ছিলেন। তিনি মিজানুর রহমান বাদল নামের একজনকে এডহক কমিটির আহবায়ক করে একটি কমিটি গোপনে দাখিল করেছে। এটা জানাজানি হলে অভিভাবকরা ডিসি স্যারের কাছে লিখিত আপত্তি দেয়। যা প্রধান শিক্ষক বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পেরেছে। আর সেই থেকেই তার মাথা গরম হয়। সেই রাগ ঝেড়েছে ছাত্রীদের পিটিয়ে।

প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন কর্তৃক দাখিলকৃত এডহক কমিটির বিপক্ষে শিক্ষার্থী/অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের পক্ষে মো. হাফিজুর রহমান লিটু লস্কর স্বাক্ষরিত ঐ আপত্তিপত্রে লেখা রয়েছে, “প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতামত উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামত শিক্ষক নিয়োগ, অতিরিক্ত ফি আদায়, জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনের কথা বলে টাকা আদায়, ফেল করা ছাত্রদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়ে পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করার সুযোগ দেয়া, বহু লোকের নিকট হইতে নিজ নামিয় চেক প্রদান করে ধার
হিসেবে টাকা এনে টাকা পরিশোধ না করে স্কুলের স্বার্থে খরচ করেছে বলে ধারের টাকা পরিশোধ না করে মানুষের সাথে প্রতারনা করা, স্কুলের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন প্রকার দূর্নীতি করে আসছে।

আরে উল্লেখ রয়েছে, “প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির বিষয়ে জরুরী বৈঠক হয়। বৈঠকে ছাত্র/ অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতামতের ভিত্তিতে এ্যাড. আল আমিন (এ.পি.পি) কে সভাপতি মনোনিত করে এবং হাফিজুর রহমান লিটু লস্করকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনিত করে সিদ্ধান্ত গৃহীতি হয়। ঐ সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষক একমত পোষন করে স্বাক্ষর প্রদান করেন এবং উপস্থিত অভিভাবকগণও স্বাক্ষর প্রদান করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী, অভিভাবকগনের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধভাবে আওয়ামীলীগ সমর্থীত মো. মিজানুর রহমান (বাদল) কে এডহক কমিটির আহবায়ক মনোনিত করে একটি পকেট কমিটি দাখিল করেছেন।”

তার দেয়া ঐ কমিটি যাতে অনুমোদন না পায় তার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এই আপত্তিপত্র দাখিল করা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!