1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ - Bikal barta
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শুক্রবার| সকাল ১০:৪৬|
সংবাদ শিরোনামঃ
শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে- ষশ্রমিক দিবসে শহীদুল ইসলাম বাবুল  নরসিংদীতে পহেলা মে শ্রমিক দিবস উদযাপিত  জকিগঞ্জে আল্লামা আবদুল গফ্ফার (রহ.) ছাত্র সংসদের উদ্যোগে সাপ্তাহিক সভার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। পাইকগাছায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  চিরিরবন্দর যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত ভাঙ্গায়  ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার  তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রের  মৃত্যু  ওসমানীনগরে মহান মে দিবস পালিত :  শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে বক্তাদের আহ্বান। ভাঙ্গায় শালিসের সময়ে হামলা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা! ভাঙ্গায় একটি বহুতল ভবনের ৫ পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু  কাউনিয়ায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত। 

কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫,
  • 69 জন দেখেছেন

 

মন্জুরুল আহসান 

স্টাফ রিপোর্টারঃ কাউনের ব্যাপক চাষের কারনে এই উপজেলার নাম কাউনিয়া হয়েছে। কাউন থেকে কাউনিয়া। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় এক সময়ে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। ছোট দানা বিশিষ্ট শস্যটি এ দেশে গরীবদের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় সেই কাউনিয়ায় এখন আর কাউনের তেমন চাষ হয় না। ফলে কাউনিয়ার নাম করনের সার্থকতা ও কাউন চাষের ঐতিহ্য দিন দিন হারাতে বসেছে।

সরেজমিনে তিস্তানদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের গ্রাম ঘুরে বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে জানাগেছে, এক সময়ে কাউনিয়ায় আনাচে কানাচে বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। কাউন রংপুর আঞ্চলের মানুষের আথিতিয়তার বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় পায়েস, ক্ষীর, মলা, বিস্কুট তৈরীর উপাদানে কাউনের চাউলের কদর ছিল ব্যাপক, তাই ভোজন প্রিয়াসী গৃহস্থরা ধান চাষের পাশা পাশি কাউনের চাষ করতেন। এ অঞ্চলের রাজা জমিদার বিত্তবানদের খাবার তালিকায় প্রসিদ্ধ কাউনের চালের পায়েস ও ক্ষীর সর্বাগে শীর্ষে ছিল। বর্তমানে কৃষি বিভাগের চরম উদাসিনতায় কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষের রুটি রুজি ও সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে ৩-৪ ফসলি উৎপাদন, ফলে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে হাতে গোনা দু-একটি কাউনের ক্ষেত। কিছু সৌখিন চাষি তিস্তার চরের পতিত জমিতে কাউনের চাষ করেছেন। ঢুসমারা চরের কৃষক তাজুল ইসলাম জানান তিনি চলতি মৌসুমে ২০শতক জমিতে কাউনের চাষ করেছেন, একই চরের মফিজুল হোসেন জানান, তিনি ৩৫ শতক জমিতে চাষ করে সারে ৭ মন কাউন পেয়েছেন। কাউন চাষে তেমন কোন খরচ নেই, সেচ দিতে হয় না, কিটনাশক লাগে না। অল্প ইউরিয়া সার দিলেই হয়। কাউনের বাম্পার ফলন হলেও সঠিক বাজার ব্যাবস্থাপনা না থাকায় চাষিরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় কাউনের তেমন চাষ না হওয়ায় এর চাষের সঠিক পরিসংখ্যান নাই। কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার জানান প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাঁড়ায় না এমন বেলে দোঁআশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। কাউনের শীষ খড়ের রং ধারন করলে এবং বীজ দাঁতে কাটার পর কট করে শব্দ হলে বুঝতে হবে কাটার উপযুক্ত সময় হয়। এলাকাবাসীর দাবী কাউনিয়ার ঐতিহ্য কাউন, এ কাউন চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ এর উদ্যোগসহ সরকারের প্রনদনা দেওয়া প্রয়োজন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!